কতজন বিদেশির বৈধ কাজের অনুমতি আছে: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৪:২৯ অপরাহ্ণ | 149 বার পঠিত
কতজন বিদেশির বৈধ কাজের অনুমতি আছে: হাইকোর্ট

বাংলাদেশে কতজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন ও কতজনের কাজের বৈধ অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) আছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে কতজন বিদেশি আয়কর দেন সেই তথ্যও জানাতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), এনজিও ব্যুরো এবং বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

এছাড়া বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশে কাজের ক্ষেত্রে আইন অনুসারে ওয়ার্ক পারমিট দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিদেশি কর্মীদের কাজ করার ক্ষেত্রে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বিডা, এনজিও ব্যুরো এবং বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজুর নাহিদ গত ১২ ডিসেম্বর এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

শুনানি শেষে আইনজীবী অনীক আর হক গণমাধ্যদমকে বলেন, বিডার এক প্রতিবেদনে এসেছে, বাংলাদেশে ৪৫ হাজার বিদেশি কর্মী কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র ৭ হাজার কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট আছে। অর্থাৎ, বিপুলসংখ্যক বিদেশি কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট নেই। এমনকি তাঁরা আয়করও দেন না। এতে সরকার বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারাচ্ছে। এসব যুক্তিতেই রিটটি করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ এই আদেশ দিলেন।

এ রিটে ১৯ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের ‘বাংলাদেশে এত বিদেশি কর্মী কেন’ শীর্ষক কলাম যুক্ত করা হয়।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাসচাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধযবিপ্রবির ছাত্রীহলে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক উন্মুক্ত কর্মশালা