বাবার কথা মনে করে নীরবে কাঁদেন নুজহাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১২:০৫ অপরাহ্ণ
ভোলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে আল-বদর বাহিনী চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলীম চৌধুরীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তিনদিন পর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে ডা. আবদুল আলীমের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার সারা শরীরে ছিল গুলি ও নির্যাতনের চিহ্ন।

নুজহাত চৌধুরীর কাছে বাবার স্মৃতি ধূসর। মা ও পবিবারের সদস্যদের কাছে বাবা সম্পর্কে জেনেছেন। বাবার সেই নির্মম হত্যাকাণ্ড এখনও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। নীরবে চোখের পানি ফেলেন।

ডা. নুজহাত চৌধুরী বাবার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমার বাবা ডা. আলীম চৌধুরী ছিলেন ছিলেন চিকিৎসক ও বুদ্ধিজীবী। বাবাকেও সেদিন রেহাই দেওয়া হয়নি হত্যা করা হয়েছিল। শুধু এই দিনেই না বাবার কথা মনে হলে সবসময় কাঁন্না আসে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ) সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বাবার কথা স্মরণ করে এভাবে বলেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর এ সন্তান।

বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রজন্মকে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের কথা জানাতে হবে, বলতে হবে। তারা তো বুঝতে পারছে না তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা। আমাদের বাবাদের অবদানের কথা’।

এদিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সায় বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সঠিক তালিকা করতে হবে। একই সঙ্গে রাজাকারদের সঠিক তালিকাও করতে হবে। আমরা যারা শহীদ পরিবারের সন্তান এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে’।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধবুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
পরবর্তী নিবন্ধনতুন নাগরিকত্ব আইন মুসলমানদের জন্য বৈষম্যমূলক: জাতিসংঘ