বাংলাদেশ এখন আর সস্তা শ্রমের দেশ নয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
বুধবার, ০৪ মার্চ ২০২০ | ৩:০৬ অপরাহ্ণ | 110 বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর সস্তা শ্রমের দেশ নয়। আগে একসময় বাংলাদেশ সস্তা শ্রমের দেশ ছিল। এখন আমাদের দেশের লোকজন অনেক দক্ষ হচ্ছে।’ বুধবার বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) ৮ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৯ দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন যে ইতোমধ্যে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। আমরা চাইছি যে আমাদের দেশের মানুষ উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠুক। যাতে আমাদের ওভাবে সস্তা শ্রমের দেশ হিসেবে আর মনে না করে। আমাদের স্কিলড লেবার তৈরি করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে হবে। সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে পাস করে শুধু চাকরির পেছনে ছুটে না বেড়িয়ে ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সেভাবে অর্থ নিতে পারেন। এসএমই ফাউন্ডেশন থেকেও ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঋণে সুদের হার অত্যন্ত বেশি, সেই সুদের হার কমিয়ে আনারও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সিঙ্গেল ডিজিটে আমরা নামিয়ে আনতে চাইছি। যাতে করে আমাদের উদ্যোক্তারা ঋণ নিয়ে তা সহজে বিনিয়োগ করতে পারে। সেই সুবিধাটা আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সঙ্গে, বেকারত্ব দূর করে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লেখাপড়া শিখে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরা উদ্যোক্তা হোন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু নিজেদের বাজারে নয়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের তৈরি পণ্য বিদেশে প্রচুর চাহিদা আছে। তাদের জন্য আমাদের মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন দেশে মার্কেট খুঁজে বের করতে হবে। ক্রেতারা কী ধরনের পণ্য চায়, এসব পণ্য আমাদেরকে তৈরি করতে হবে। এজন্য গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনকে গবেষণার জন্য উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এসএমই থেকে ঋণ নিয়ে আজ বহু নারী ও যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা ঋণের সুদ কমিয়ে এক ডিজিটে নিয়ে আসছি। এক্ষেত্রে আরও যুবক ও বোনেরা এগিয়ে আসতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে, এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ডিজিটাল ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে। শুধু একটা সাবজেক্টে পাস করে বসে থাকলে হবে না। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুবকদের এগিয়ে যেতে হবে। তাকে নানা উদ্যোগ নিতে হবে।

এবার এসএমই উদ্যোক্তাদের অবদান ও অংশগ্রহণকে স্বীকৃত দেয়ার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক পুরুষ ও নারী ক্যাটাগরিতে মোট পাঁচজনকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে অভিনন্দন জানান। আগামীতে যাতে আরও লোক পুরস্কার পেতে পারে সেজন্য তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধআশুলিয়ায় মজুরি কমানোর অভিযোগে শ্রমিকদের অনশন
পরবর্তী নিবন্ধসংসার ভাঙল শাবনূরের