ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপ ২০২১ পেয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আফজাল হোসেন। সংশ্লিষ্ট মনোনয়ন সংক্রান্ত কমিটি তাকে এই ফেলোশিপের জন্য মনোনীত করে। এর মেয়াদ এক বছর এবং এটি চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বুধবার (৩০ জুন) ইউজিসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের উচ্চশিক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনবদ্য অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ইউজিসি এই ফেলোশিপ প্রবর্তন করেছে।
ফেলোশিপের জন্য কলা ও মানবিক, বিজনেস, শিক্ষা ও আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দরখাস্ত আহ্বান করে ইউজিসি। ইউজিসির আহ্বানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপের জন্য দেশের ৯ জন গবেষক আবেদন করেন। কমিটি সবার আবেদন যাচাই-বাছাই করে অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেনকে এই ফেলোশিপের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়।
‘এক্সপ্লোরিং দ্য প্রটেনশিয়াল অব সিউইডস ফর প্রমোটিং দ্য ব্লু ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ গবেষণা প্রস্তাবনার জন্য তিনি ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপ পেয়েছেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপ মনোনয়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিক উল্লাহ খান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন যুক্ত ছিলেন।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে একটি মেধাসম্পন্ন বিজ্ঞানমনষ্ক উন্নত জাতি হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত ব্লু ইকোনোমির সুবিধা পেতে এক্ষেত্রে ব্যাপক গবেষণার করা প্রয়োজন। ব্লু ইকোনোমির অপার সম্ভাবনা সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের বেকারত্ব দূর হবে, অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং ২০৪১ এর উন্নত দেশ বিনির্মাণ সহজ হবে। প্রফেসর ড. আফজাল হোসেনের গবেষণায় সুনীল অর্থনীতির একটি দিক সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে সক্ষম হবে বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফেলোশিপ প্রাপ্তি বিষয়ে প্রফেসর ড. মো. আফজাল হোসেন বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপ প্রচলন ইউজিসির একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সম্মানজনক এই ফেলোশিপ প্রদানের জন্য তিনি ইউজিসিকে ধন্যবাদ জানান।
নির্বাচিত ফেলো প্রতিমাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন। এছাড়া, বাড়িভাড়া, শিক্ষা সামগ্রী কেনা, সেমিনার বা কর্মশালা আয়োজন ইত্যাদির জন্যও নির্ধারিত হারে অর্থ পাবেন।