ফাইনালে ইংল্যান্ড, বিশ্ব দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ | ১০:২৩ অপরাহ্ণ | 423 বার পঠিত

অজিদের দেওয়া ২২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে মামুলি জয় পেয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ ফাইনাল নিশ্চিত করলো ইংল্যান্ড। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১০৭ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে নাম লেখালো এখন পর্যন্ত শিরোপার স্বাদ না পাওয়া ইংল্যান্ড। এতে করে বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড।

জনি বেয়ারস্টো আর জেসন রয়ের উদ্বোধনী জুটি জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। ২২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ওপেনিংয়েই ১০৪ বলে তারা তুলে দিয়েছেন ১২৪ রান। এমন শুরুর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ইংলিশদের।

দুই ওপেনারের মধ্যে একটু ধীরগতির ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। ৪৩ বলে ৩৪ রান করে তিনি মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হন। ১৪ বলের ব্যবধানে আরেক ওপেনার জেসন রয়কেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে অসি শিবিরে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিলেন প্যাট কামিন্স। ৬৫ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় রয় তখন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়।

এর আগে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ হতাশায় শুরু অজিদের। ব্যক্তিগত শূন্য রানে অ্যারণ ফিঞ্চের বিদায়, ৯ রান করে ডেভিড ওয়ার্নারও শেষ। পিটার হ্যান্ডসকম্ব বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে হতাশ করেন ৪ রান করে।

দলীয় ১৪ রানে যখন ৩ উইকেট শেষ, তখন টেনে তোলার চেষ্টা স্টিভ স্মিথ আর অ্যালেক্স ক্যারির। ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখেও গড়েন ১০৩ রানের জুটি। এর মাঝে জোফরা আর্চারের বলের আঘাতে মুখ থেতলে গেলেও হাল ছাড়েননি ক্যারি।

শেষ পর্যন্ত ৭০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন আদিল রশিদের বলে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ১১৭ রানের মাথায়।

এরপর স্টিভ লড়ে গেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর মিচেল স্টার্ককে নিয়ে। অজিদের এমন দুঃসময়ে দলের কাণ্ডারি হয়ে উঠেন এই ডান-হাতি।

ম্যাক্সওয়েল ২৩ বলে করেন ২২ রান, স্ট্রার্কের ব্যাটে আসে ৩৬ বলে ৩৯ রান। স্মিথ শেষ পর্যন্ত ১১৯ বলে ৮৫ রান করে বিদায় নেন রান আউট হয়ে।

এরপর শেষের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৪৯ ওভারে ২২৩ রানে অল-আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে সমান ৩টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। ২টি উইকেট নেন জোফরা আর্চার ও ১টি উইকেট নেন মার্ক উড।

মুক্ত ক্যাম্পাস/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের ফেয়ারওয়েল
পরবর্তী নিবন্ধকামারখন্দে দুর্দিনে কাটছে কামারদের জীবন