২০১৪ (স্থগিত) ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিকে প্যানেল প্রসঙ্গে

মো: হোসেন
শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | 306 বার পঠিত
২০১৪ (স্থগিত) ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিকে প্যানেল প্রসঙ্গে

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাত ভূক্ত সহকারী শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগ বিজ্ঞতি প্রকাশিত হবার দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়। ২০১৪ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এর বিপরীতে ১৩ লাখ আবেদন পড়ে। যা ছিল তখনকার সময়ের সবচেয়ে বেশী সংখ্যক আবেদন।

এই বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ২৯ হাজার ৫৫৫ জন উত্তীর্ণ হয় এবং ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ নিয়োগের জন্য ৯৭৬৭ জনকে মনোনীত করে ফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রাকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ ( স্থগিত) ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা থেকে ১০০০০ হাজার পদে নিয়োগ প্রদান করার কথা উল্লেখ ছিল যা উল্লিখিত সংখ্যার ২৩৩ জন কম। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ এডুকেশন বাংলা নিউজ পোর্টালে প্রাকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সারা দেশে সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য ছিল ১৮০০০। ২০১৮ সালের এপ্রিল- জুনে যখন নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হলো তখন ১৮০০০ এর বেশী পদ শূন্য থাকা স্বত্ত্বেও কেন শূন্য পদ পূরণ করা হয়নি?

২০১৪ (স্থগিত) ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিকে প্যানেল প্রসঙ্গে

অথচ ২০১৮ সালের নিয়োগ পরীক্ষা থেকে (২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত) শূন্য পদের ভিত্তিতে ১৮০০০ এর বেশী শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞতি প্রকাশিত হবার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকশিত তথ্যমতে ২০১৮ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হতে ১২০০০ হাজার নিয়োগ দেবার কথা ছিল অথচ ২০১৯ সালে ফলাফল প্রকাশিত হলে সেখানে ১২০০০ স্থলে ১৮১৪৭ জনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করা হয়। তাহলে (২০১৪ স্থগিত) ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞপ্তিটি ৪ বছর স্থগিত থাকার পরেও উক্ত বিজ্ঞপ্তি থেকে কেন শূন্য পদ পূরণ করা হলো না?

২০১৩ সালে জানুয়ারি মাসে রেজিস্টার সকল বিদ্যালয় জাতীয়করণ হলে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাথমিকে ২০১০ সলের ১১ এপ্রিল প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী প্যানেল শিক্ষকরা নিয়োগ লাভের জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। উচ্চ আদালত ৪৯০টি রিটের বিপরীতে ১৫০০০ জনের পক্ষে রায় প্রদান করে। এবং তাদের নিয়োগ দিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করে কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আদালতের রায় উপেক্ষা করে (৪২ হাজার ৬১১ জন) প্যানেলের সকলকে মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করে। এতে করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৪ বছর সময় লেগে যায়। আটকে যায় ২০১৪ সালের নিয়োগ। ক্ষতিগ্রস্থ হয় লাখ লাখ চাকুরী প্রার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অদূরদর্শীতার বলি হই আমরা ২০১৪ সালের আবেদনকারীরা।

প্যানেল চাওয়ার যৌক্তিক কারণ সমূহ:

১। বর্তমানে প্রায় ১ লাখ পদের চাহিদা রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
২। ১৩ লাখ প্রার্থীর মধ্যে আমরা মাত্র ১৯৭৮৮ জন যা শতকরা ২.৩%।
৩। আমাদের অধিকাংশের আবেদনের বয়সসীমা শেষ হয়ে গিয়েছে।
৪। রীট জটিলতার কারণে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আমরা একটি মাত্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি।
৫। ব্যাংক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেক্টরে প্যানেলের নিয়োগ পদ্ধতি প্রচলিত আছে।
৬। করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট এর কারণে প্যানেল প্রয়োজন।

এমতাবস্থায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করবো মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে স্থগিত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ( ২০১৪) যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল সবাই কে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় সেবা করার সুযোগ করে দিন এবং বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্তি দিন।

প্যানেল প্রত্যাশীদের পক্ষে
মো: হোসেন, রামগতি, লক্ষ্মীপুর

মুক্ত ক্যাম্পাস/জেপি

পূর্ববর্তী নিবন্ধবশেমুরবিপ্রবিতে ‘সেভ ইয়ুথ ওয়ার্কশপ (কোর)’ শীর্ষক সেমিনার
পরবর্তী নিবন্ধ‘স্থানীয় শাসনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নারীর ক্ষমতায়ন বাড়িয়েছে’