রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন মাজেদ

অনলাইন ডেস্ক
বুধবার, ০৮ এপ্রিল ২০২০ | ৮:২০ অপরাহ্ণ | 153 বার পঠিত
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন মাজেদ

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও চাকরিচ্যুত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন বলে জানিয়েছে কারা কতৃপক্ষ।

এর আগে, আব্দুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আজ বুধবার (৮ই এপ্রিল) দুপুরে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা ও দায়রা আদালতে এ মামলার ডেথ রেফারেন্সে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলা জজ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল চৌধুরী মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। আসামি আব্দুল মাজেদের উপস্থিতিতেই তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার কথা স্বীকার করেন খুনি মাজেদ।

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন মাজেদ

কারা বিধি অনুযায়ী আগামী ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে যে কোন দিন খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে কারা কতৃপক্ষ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৭ই এপ্রিল) আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হয় আব্দুল মাজেদকে। তার আগে, সোমবার দিবাগত গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১ নাম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। ফাঁসির সাজা পাওয়া বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনীর একজন চাকুরিচ্যুত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ। ভারতে লুকিয়ে আছেন বলে সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় খবর আসলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি।

আবদুল মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আরও কয়েকজন খুনির সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যান। এরপর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগালের দূতাবাসে বদলি করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু করে। সে সময় আত্মগোপনে চলে যান মাজেদ।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ৩৪ বছর পর ২০১০ সালে ১২ খুনিকে মৃত্যুদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে। সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি। তাদের ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও বাকি ৭ জনের মধ্যে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে আজিজ পাশার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে কারও করোনাভাইরাস নেই, পরীক্ষা ৮৮ জনের
পরবর্তী নিবন্ধভোলায় মসজিদ ও স্থাপনায় জীবাণুনাশক স্প্রে করছে স্বেচ্ছাসেবীরা