পর্তুগালে বাংলাদেশ দুতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকীর বিদায় ও পর্তুগালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৬ টায় পর্তুগালের লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে বাংলাদেশি স্টুডেন্টস কমিউনিটি-পর্তুগাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশি স্টুডেন্টস কমিউনিটি-পর্তুগালের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মুনের পরিচালনায় রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী তার বিশেষ বিদায়ী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূতের সহধর্মীনী রিমা আরা খানম, দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল রাজী ও তার সহধর্মীনী মালিহা খাঁন।
পর্তুগালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী
রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি যতদিন ছিলাম চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীর পাশে থাকতে। কারণ, এই দেশে খুব কম খরচে পড়াশুনা করা যায় এবং সেই সাথে ইউরোপের অন্য দেশের তুলনায় সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। বাংলাদেশেই শিক্ষার্থীরা যেন পর্তুগালে আসার জন্য ভিসা ঢাকায় জমা দিতে পারেন এই ব্যাপারে বাংলাদেশে পর্তুগালের দূতাবাস কিংবা কনস্যুলার অফিস হওয়া নিয়ে এই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা চলছে। বর্তমানে দূতাবাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ভিএফএস বা অন্য কোন দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসা বাংলাদেশেই জমা দিতে পারেন তার জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে। আশা করি কোন একদিন এই সুখবর আপনারা পাবেন।
উল্লেখ্য, পর্তুগাল সরকারের করোনা বিষয়ক বিভিন্ন দিক নির্দেশনার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। বিদায়ী সংবর্ধনায় লিসবনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১৫ জনের মত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং করোনার কারণে লিসবনের বাইরের শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে বাংলাদেশে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া এবং নৌশ ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।
মুক্ত ক্যাম্পাস/রনি/এমআর