‘পতাকা অবমাননাকারীদের পদোন্নতি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছেন ভিসি কলিমউল্লাহ’

এমসি রিপোর্ট
রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১ | ৩:২১ অপরাহ্ণ
বিজয় দিবসেও ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ভিসি কলিমুল্লাহ!

জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের পদোন্নতি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। এমন অভিযোগ এনে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক নেতা।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বরাবার ‘জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কীভাবে রক্ষা করছেন ও পদোন্নতি দিয়ে পুরষ্কার দিচ্ছেন সে বিষয়ে অবহিতকরণ ও উপাচার্যসহ পতাকা অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন’ শীর্ষক এক চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মোহা. মাহামুদুল হক।

শিক্ষামন্ত্রী বরাবার প্রেরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, “আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানাচ্ছি যে আমরা যখন স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিব বর্ষ উদযাপনের ক্ষণে তখন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র নির্দেশে ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্বাধীনতা স্মারকে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি’ অনুযায়ী উপাচার্য পতাকা অবমাননার নির্দেশদাতা। কারণ মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান তার নির্দেশেই হচ্ছিল। আমরা নিম্ন স্বাক্ষকারী দু’জন রংপুর তাজহাট থানায় উপাচার্যকে প্রধান আসামী করে পতাকা অবমাননার মামলা করি (মামলা নং এনজিআর-১১/২০২১, আমলী আদালত, তাজহাট, রংপুর)।”

“কিন্তু তিনি তদন্ত কর্মকর্তার উপর প্রভাব বিস্তার করে তার নাম তদন্ত প্রতিবেদনে বাদ দিতে বাধ্য করেন। পুলিশের তদন্তে জেলা প্রশাসনের তদন্তের ওই ১৯ জনকেই আসামী করা হয়। আসামীরা এখন জামিনে আছেন, মামলা আদালতে চলমান। এ সংক্রান্ত আরেকটি মামলা পিবিআই তদন্ত করছে (সিআর ৬৯/২০২০)। উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ৭৫তম সিন্ডিকেট তাদের সর্তক করে এবং তাদের দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলে। ক্ষমা চাওয়া মানে দোষ স্বীকার করা। এ ধরনের পতাকা অবমাননার অপরাধ ক্ষমা করার এখতিয়ারও সিন্ডিকেট রাখে না।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, !জামিনরত পতাকা মামলার আসামীদের বরখাস্ত না করে বরং পুরষ্কার হিসেবে উপাচার্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সদরুল ইসলাম, এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রদীপ কুমারকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছেন। পতাকা অবমাননার এজহারভুক্ত আরেকটি মামলার (সিআর ৬৯/০২০) আসামী এবং উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমানকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অথচ বিভিন্ন মামলায় জামিনে মুক্ত কমপক্ষে ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন উপাচাযের্র নেতৃত্বধীন বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ।

“বিষয়টি বিবেচনা করে জাতীয় পতাকা আসামীদের পদোন্নতির পদাবনয়ন করে তাদের শাস্তি নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিনীত অনুরোধ করছি।”

চিঠির অনুলিপি মন্ত্রীপরিষদ সচিব, শিক্ষা সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব, রংপুর জেলা প্রশাসক, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব বারবর প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৮
পরবর্তী নিবন্ধ৪১তম বিসিএসে অনুপস্থিত প্রায় ২৫% প্রার্থী