নিবন্ধনধারীদের সুখবর দিলেন এনটিআরসিএর চেয়ারম‌্যান

এমসি রিপোর্ট
বুধবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২১ | ৯:০২ পূর্বাহ্ণ
১৬তম নিবন্ধনের স্থগিত ভাইভা পরীক্ষা শুরু

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে সুখবর আসছে। ইতোমধ্যে ১৬তম নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে এনটিআরসিএ-এর চেয়ারম‌্যান মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির বিষয় পরিকল্পনা রয়েছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় এখনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি। শুনানি হলেই তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবো। শিগগিরই এই সমস্যা সমাধানের চিন্তা রয়েছে।’

এদিকে, নতুন চেয়ারম্যানের যোগদানের ফলে আশার বুক বাঁধছেন নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের প্রত্যাশা, নতুন চেয়ারম্যানের হাত ধরে গণবিজ্ঞপ্তি আসবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী আব্দুর রহমান শান্ত বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নিয়োগ বন্ধ আছে। আশা করি, নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন।’

আরেক চাকরিপ্রত্যাশী মো. মামুন বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকের চাকরির বয়স শেষ হতে যাচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন চেয়ারম্যান এসেছেন। আশা করি তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তি আসবে।’

জানা গেছে, দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজে ও মাদ্রাসায় ৮০ হাজারের মতো পদ শূন্য রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষার আয়োজন করে এনটিআরসিএ। এ পর্যন্ত মোট ১৫টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা হয়েছে। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা এনটিআরসিএ আয়োজন করলেও নিয়োগ চূড়ান্ত করছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ। এই নিয়োগ নিয়ে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০১৫ সাল থেকে এনটিআরসিএকে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষক চাহিদা পাঠানো হয় এনটিআরসিএতে। সেখান থেকে নির্বাচিত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের তালিকা পাঠানো হয় প্রতিষ্ঠানে। সে তালিকা থেকেই শিক্ষক নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এখন শুধু শিক্ষকের নিয়োগপত্র জারি করে।

এই পর্যন্ত দুটি গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে দুই দফায় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে এনটিআরসিএ। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে নিয়োগ পেয়েছেন প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষক।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম থেকে ১৫তম নিবন্ধিত মেধাতালিকায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার ১২৭ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮২১ জনের বয়স ৩৫ বছর পার হওয়ায় তারা নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন না। আবার অনেকে বিভিন্ন চাকরি নিয়ে চলে গেছেন। গণবিজ্ঞপ্তির জন্য নভেম্বর পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৩৬০টি এবং এখন পর্যন্ত নতুন প্রায় ২২ হাজারসহ প্রায় ৮০ হাজার শূন্যপদের শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীরা অপেক্ষা করছেন। গত জানুয়ারি মাসে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনও হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাম-ঠিকানা দিয়েই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি
পরবর্তী নিবন্ধতিতুমীর কলেজের অধ্যাপকের ভুয়া স্বাক্ষরে কমিটি