যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়…

মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিবেদন
শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ | ১:৫১ পূর্বাহ্ণ | 243 বার পঠিত

নন্দিত কথা সাহিত্যিক, লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি নিউইয়র্কে মারা যান। দিনটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, নূহাশ পল্লীতে তার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।

তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সেখানকার দুস্থ-এতিম বাচ্চাদের খাওয়াবেন। সকাল থেকে হুমায়ূন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করবেন শাওন। নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে। বাবার চাকরি সূত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কেটেছে তার শৈশব।দেখেছেন বহু মানুষ এবং তাদের জীবনানুভূতি। এর ফলেই হুমায়ূন আহমেদের লেখায় উঠে এসেছে বাঙালি মধ্যবিত্তের নানা সংকট, বিচিত্র জীবনযাপন আর হৃদয়ের টানাপড়েন।

২০১১ সালে তাঁর অন্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়লে পরের বছরের মাঝামাঝি সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি আর ফেরেননি। তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ ঢাকায় আনার পর ২৪ জুলাই তাকে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে তার প্রিয় নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

হুমায়ূন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। তার অন্যতম উপন্যাসগুলো হচ্ছে— নন্দিত নরকে, মেঘ বলেছে যাব যাব, আগুনের পরশমণি, আমরা কেউ বাসায় নেই, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে-দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে প্রকাশের মাধ্যমে পাঠক-সমালোচকের যে দৃষ্টি তিনি আকৃষ্ট করেছিলেন, তা পরবর্তীকালে ধরে রাখতে সক্ষম হন। আর এই সক্ষমতাই তাকে দেয় বাংলা সাহিত্যে ঈর্ষণীয় পাঠকপ্রিয়তা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরে লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যস্ততায় তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।

কোটি হৃদয়ের ভালোবাসায় সিক্ত হুমায়ূন আহমেদ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার ও মাইকেল মধুসূদন পদক।

মুক্ত ক্যাম্পাস/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুয়েটে তিন দিনব্যাপী শিক্ষা সমাপনী উৎসব শুরু
পরবর্তী নিবন্ধলন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী