ধর্মঘটে স্থবির জাবির প্রশাসনিক কার্যক্রম, ক্লাস চলছে (ভিডিও)

নাহরাইন জান্নাত, জাবি
রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০১৯ | ৮:৩৪ অপরাহ্ণ | 151 বার পঠিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলমান সর্বাত্মক ধর্মঘটের অংশ হিসেবে আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের পাশাপাশি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস অবরোধ করেন।

এ সময় প্রশাসনের লোকজন তালা কাটতে আসলে আন্দোলনকারীরা তালা কাটার যন্ত্রটি লুকিয়ে ফেলেন। ফলে বন্ধ থাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিসের সকল কার্যক্রম। তবে, বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত ক্লাস চলেছে।

এছাড়া দুপুর ২টায় পুরাতন প্রশাসনিক ভবন থেকে অবরোধের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন একাডেমিক ভবন এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সহ-সভাপতি মুশফিক-উস-সালেহীন বলেন, “উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের লক্ষ্যে তার বাসভবন যেকোনো সময় অবরোধ করা হবে। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলমান অবরোধ-ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা”।

আন্দোলনকারী ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হত্যাচেষ্টা মামলা করার প্রতিবাদে এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় প্রান্তিক গেট থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।

দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে দুই মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। প্র্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে উপাচার্যের ‘মধ্যস্থতায়’ ছাত্রলীগের নেতাদের বড় অঙ্কের আর্থিক সুুবিধা দেওয়ার অভিযোগের তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়।

দাবির বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দুই দফায় আলোচনায় অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈঠকে আন্দোলনকারীদের  দুই দফা দাবি মেনে নিলেও আর্থিক অনিয়মের তদন্তের দাবির বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় ২ অক্টোবর থেকে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আর গত ২৮ অক্টোবর থেকে লাগাতার অবরোধ-ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা।

মুক্ত ক্যাম্পাস/নাহরাইন/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধখুবিতে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নির্মিত হচ্ছে লেকসাইড ওয়াকওয়ে
পরবর্তী নিবন্ধইবি উপাচার্যের সাথে মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ