দেশে চিকিৎসকের ১১ হাজার ৩৬৪টি পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে ২৯০ জন, ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে ২৬০ জন, ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে ১০০ জন, ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসকের শূন্যপদ পূরণের কার্যক্রম চলমান আছে’।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সংসদে সরকারি দলের এমপি মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
সংসদে জেলা অনুযায়ী শূন্য পদের পরিসংখ্যান দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার দেয়া তথ্যমতে, দেশের সবকটি জেলাতেই চিকিৎসকের পদ ফাঁকা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি পদ ফাঁকা ঢাকায় ৩ হাজার ১৮৫টি। তবে মন্ত্রী বলেছেন, ‘ওএসডি চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি থাকায় ঢাকায় বাড়তি চিকিৎসক দেখানো হয়েছে’।
বিএনপির এমপি জি এম সিরাজের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকাসহ সারাদেশে অনুমোদনহীন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান আছে। প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে অনুমোদনবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
জি এম সিরাজের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা দূর করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে কোভিড-১৯-এর বিভিন্ন কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে ওএসডি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে বিভিন্ন নির্দেশনার ভিত্তিতে শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।’