দেশে ১১ হাজার ৩৬৪ চিকিৎসকের পদ ফাঁকা

স্বাস্থ্য ডেস্ক
সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০ | ৯:৪৪ অপরাহ্ণ
দেশে করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৯

দেশে চিকিৎসকের ১১ হাজার ৩৬৪টি পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে ২৯০ জন, ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে ২৬০ জন, ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে ১০০ জন, ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসকের শূন্যপদ পূরণের কার্যক্রম চলমান আছে’।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সংসদে সরকারি দলের এমপি মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।

সংসদে জেলা অনুযায়ী শূন্য পদের পরিসংখ্যান দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার দেয়া তথ্যমতে, দেশের সবকটি জেলাতেই চিকিৎসকের পদ ফাঁকা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি পদ ফাঁকা ঢাকায় ৩ হাজার ১৮৫টি। তবে মন্ত্রী বলেছেন, ‘ওএসডি চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি থাকায় ঢাকায় বাড়তি চিকিৎসক দেখানো হয়েছে’।

বিএনপির এমপি জি এম সিরাজের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকাসহ সারাদেশে অনুমোদনহীন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান আছে। প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে অনুমোদনবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

জি এম সিরাজের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা দূর করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে কোভিড-১৯-এর বিভিন্ন কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে ওএসডি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে বিভিন্ন নির্দেশনার ভিত্তিতে শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।’

করোনার নমুনা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা করার পদ্ধতি আনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান জাহিদ মালেক।

‘সরকার কোভিড পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও এ সংক্রান্ত জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য আধুনিক ও দ্রুত সময়ে পরীক্ষার পদ্ধতি দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার কম হওয়ার কারণে দেশের মানুষ বেশি পরীক্ষা করতে চাচ্ছে না। এ কারণে দেশে সক্ষমতার চেয়েও দৈনিক কম সংখ্যক নমুনা সংগৃহীত হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও যুগোপযোগী নেতৃত্বে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের মতো বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ শুরুর কয়েকমাসের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১১৫টি পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এ সকল ল্যাবে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ হাজার পিসিআর পরীক্ষা করা সম্ভব। প্রয়োজনিয়তা সাপেক্ষে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো যেতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১৩ থেকে ১৫ হাজার পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে।’

মন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ পরীক্ষার হার দৈনিক চাহিদার ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে দেশের উপসর্গ ও উপসর্গহীন যেকোনো নাগরিক ও দেশে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদের চাহিদামাত্র কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে পারেন। পরীক্ষার হার বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সব রকমের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলা সিনেমার চে যদি উত্তমকুমার হন, সৌমিত্র তা হলে ফিদেল
পরবর্তী নিবন্ধফেসবুক লাইভে সাকিবকে হত্যার হুমকি, যুবককে খুঁজছে পুলিশ