‘দাবি একটাই-উপাচার্যের পদত্যাগ’

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৮:০৯ অপরাহ্ণ | 110 বার পঠিত

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন হল থেকে এবং হলের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীরা একের পর এক মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে থাকে। তাদের একটাই দাবি—উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আজ পঞ্চম দিনের মতো এই আন্দোলন চলছে।

এর আগে আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ছাড়েননি। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ সোমবার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা ভিসির নানা অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ঝড়, বৃষ্টি বা যে ধরনের বাধাই আসুক না কেন তারা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। যতক্ষণ না দুর্নীতিবাজ ভিসি পদত্যাগ করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনের মুখে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে, শনিবার ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আবারও হামলার আশঙ্কা করছেন। এ ঘটনায় সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় পদত্যাগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও এ ঘটনায় কোনো মামলা করেনি।

তবে এ ঘটনায় ভিসি নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এবং ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ক্যাম্পাস উত্তাল থাকায় ক্যাম্পাসের মেইন গেট ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. নুরউদ্দীন আহমেদ জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছি। সেটা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ছাড়েনি। শিক্ষার্থীদের ওপর ক্যাম্পাসের বাইরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হলের পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধের যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক না। যে দিন বন্ধ ছিল সেদিন সারা গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ ছিল না। তাই পানিও তোলা সম্ভব হয়নি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেছে।

অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার গত কয়েকদিন থেকে দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ডেইলি সান পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার ও আন্দোলনের মুখে বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিরতিহীন অন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে গত শনিবার বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলোন্নয়ন পরীক্ষার নিয়ম বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত ২২, বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ১৪