দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ৪:৪০ অপরাহ্ণ

দুই মাস ধরে দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। এতে ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে এর মধ্যে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। পূর্ব গিপসল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ৪৩টি বাড়ি ও নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে ২০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

তবে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। বুধবার ভিক্টোরিয়ার প্রধান সড়কটি মানুষের সরে যাওয়ার জন্য দুই ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়। গত সোমবার বেশ কয়েকটি উপকূলীয় শহর ও পর্যটন স্থানে দাবানল ছড়িয়ে পড়লে শহর ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হন বাসিন্দারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বছরের শুরুতেই নিউ সাউথ ওয়েলসে ১১২টি আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ভিক্টোরিয়ায় একটি জরুরি অবস্থাসহ ৪৫টি এলাকায় দাবানল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দাবানলের কারণে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার একটি গাড়ি থেকে এক ব্যক্তির দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুই রাজ্য মিলিয়ে পাঁচজন নিখোঁজ আছে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। ফায়ার সার্ভিস সতর্ক করেছে যে তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু লোকের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে নিউ সাউথ ওয়েলস রুরাল ফায়ার সার্ভিসের কমিশনার শেন ফিটসিমন্স বলেন, হাজারো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে সাগর তীরে আশ্রয় নিচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলসে এর চেয়ে ভয়াবহ দাবানল আমরা কখনো দেখিনি।’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কাছেও জরুরি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নতুন করে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় দেশটির ভিক্টোরিয়া রাজ্যে। দাবানলের কারণে এ রাজ্যের কিছু অঞ্চল থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। দেশটিতে দাবানলের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক।

সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ইস্ট গিপ্সল্যান্ড অঞ্চল থেকে প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক ও ৪৫ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে জরুরি ভিত্তিতে চলে যেতে বলা হয়। সোমবার দুপুরে এ অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয় এবং অতিসত্ত্বর এ অঞ্চল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত ১০ বার জরুরি সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এসআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কেউ আন্দোলন করতে পারবে না: শিক্ষামন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধলাইট ইঞ্জিনিয়ারিংকে ২০২০ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর