জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট এর ৭ম ব্যাচের ছাত্র, নেত্রকোনার ছেলে, তৌহিদুলের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ঘাতকের নাম আশিক (২৫)।
গত ১লা মে রাত আনুমানিক ২টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের সাংকিপাড়া এলাকায় ৩-৪ জনের সন্ত্রাসীদের একটি দল তৌহিদুলের মেসে গিয়ে তাকে মারধরের করে এবং এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়।
জানা যায়, সন্ত্রাসীদের সাথে তৌহিদুলের ধস্তাধস্তির আওয়াজ পেয়ে মেস মালিক এগিয়ে আসে এবং মেস মালিকের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত তৌহিদুলকে মেস মালিক পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনুমানিক রাত ৩:৩০ মিনিট তৌহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খান হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। শনিবার অনলাইনের ভিডিও বার্তায় দেশের সকল পাবলিক, প্রাইভেট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে তৌহিদুলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ববজায় রেখে রবিবার ক্যাম্পাসে, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব ও নেত্রকোনা প্রেস ক্লাবের সামনেসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা ভাস্কার্যের সামনে শিক্ষকদের আয়োজনেও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানান।
তৌহিদুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলানের পুত্র। তিনি (তৌহিদুল ইসলাম) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৭ম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী।
আমাদের সাথে ফেসবুক পেজে কানেক্ট থাকুন: মুক্তক্যাম্পাস
মুক্ত ক্যাম্পাস/রিফাত/জেডআর