তিন দিন পর্যন্ত পার্সেল না ধরার পরামর্শ গবেষকদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০ | ৮:০৫ অপরাহ্ণ | 111 বার পঠিত

করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে যেকোনো পার্সেল বা ডেলিভারি প্যাকেজ না ধরে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ফেলে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বাথ, ব্রিস্টল এবং সাদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীদের একটি দল। আজ মঙ্গলবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মূলত প্রতিবেদনটিতে করোনাভাইরাস রোধে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে বাহির থেকে আসে ডেলিভারি প্যাকেজগুলো ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত না ধরা উত্তম। বাড়িতে নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক ছিটাতে হবে। জিনিসপত্রের ওপর সবসময় জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উন্নততর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন একজনের তোয়ালে আরেকজন ব্যবহার না করা।

বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ডা. বেন আইনওয়ার্থ বলেন, অন্যান্য ভাইরাসের ক্ষেত্রে কার্যকর একই পদ্ধতি ব্যবহার করে কীভাবে কোভিড-১৯ থেকেও নিজেকে সুরক্ষা দেওয়া যায় জার্ম ডিফেন্স সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়। এই তথ্য পেতে হয়তো আপনার ১০ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু এটা আপনাকে যেমন করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে তেমনি জীবনভর সর্দি ও ফ্লুর উপশমও মিলতে পারে।

এসব পরামর্শ অনুশীলনে কিছুটা সময় লাগলেও এক সময় এটা এমন অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে যে তা স্বাভাবিকভাবে করা হবে এবং অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে বলে এই মনোবিজ্ঞানী মন্তব্য করেন।

ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুসি ইয়ার্ডলি বলেন, বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, পরিবারের কোনো সদস্য অসুস্থ হলে অন্যদের আক্রান্ত হওয়াটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। কিন্তু আমরা দেখেছি, জার্ম ডিফেন্সের পরামর্শ যারা মেনে চলেছেন, তাদের মধ্যে তেমন সংক্রমণ নেই এবং তাদের সাথে থাকা লোকেরাও রক্ষা পান।

এর আগে গত সপ্তাহে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) ওই দলটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানের বেশিরভাগ রোগী তারাই হচ্ছেন, যার ইতিপূর্বে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের দেখাশোনা করতেন। তবে ব্যক্তি সচেতনতাই করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে উত্তম হাতিয়ার বলে জানান তারা।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এস আর

পূর্ববর্তী নিবন্ধহোয়াইট হাউসের কর্মীদের মাস্ক পরার নির্দেশ দিলেও পরবেন না ট্রাম্প!
পরবর্তী নিবন্ধকরোনার প্রভাবে বদলে গেল চীনের শিক্ষাব্যবস্থা