আগামী ১৪ ডিসেম্বর শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং আগামী ১৬ ডিসেম্বর সোমবার মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েয়ে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ১৫মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত এবং সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা এবং সকাল ১১টায় উপাচার্যের সভাপতিত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হবে।
মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত এবং সকাল ৬টা ৩৫মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা। বিকাল ৪টা ১০মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানটের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হবে।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদসহ সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দফতর প্রধান এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি, ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন ও ঢাবি মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ডের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতি বছর বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
মুক্ত ক্যাম্পাস/শোয়াইব/জেডআর
