শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ডুয়েট ছাত্রলীগের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

ডুয়েট প্রতিনিধি:
সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ | ১০:৫১ অপরাহ্ণ | 118 বার পঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ডুয়েট ছাত্রলীগ।

ডুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তাদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলনের এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরি, শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক আবুল কাসেম, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম, ডুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ব্যানার্জী সহ ডুয়েট ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ডুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ব্যানার্জী তার বক্তব্যে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর আমাদের এক কালো অধ্যায়, ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতিকে মেধাশুন্য করার জন্য রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা
লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের নৃশংস ভাবে হত্যা করে। আজ সেই রাজাকার, আল-বদর এর বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসম্মান করেছে। এই পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়বে ডুয়েট ছাত্রলীগ, প্রয়োজনে রাজপথে নামবে, তাদের চক্রান্ত সফল হতে দিবে না।

এসময় মাজহারুল ইসলাম তার বক্তব্যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের ধিক্কার জানান। এখনো যারা দেশকে মেধাশুন্য ও দেশের অগ্রগতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে ছাত্রলীগকে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার ও ছাত্রলীগকে রাজনীতির পাশাপাশি মেধার দিকে এগিয়ে থেকে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক আবুল কাসেম তার বক্তব্যে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর আমাদের শোক দিবস। এই সময় তিনি সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও সকল যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার করার দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী আল-বদর,আল-শামস, জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা আমাদের মাঝে এখনো বিচরণ করছে  তিনি ছাত্রলীগকে নিজস্ব জ্ঞানে পরিপূর্ণ হয়ে জামাত-শিবিরকে রুখে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

প্রধান অথিতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৪ ডিসেম্বর। যখন মা তার সন্তানকে আগলে রাখতে চেয়েছিল তখন রাজাকার, আল-বদর আল-শামস আমাদের সন্তানদের অনেক মারাত্মকভাবে ক্ষত বিক্ষত করে হত্যা করে। তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে নসাৎ করে এদেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল। তাদের সাথে যোগ দেয় আমাদের দেশের কুলাঙ্গার কিছু মানুষ, এর সাথে যুক্ত ছিলো জামায়াত শিবির রাজাকার।

আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে, গবেষণায়, সাহিত্যে, সাংবাদিকতায় এগিয়ে যেতে হবে।
সবশেষে তিনি এমন আয়োজনের জন্য ডুয়েট ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডুয়েটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত, দেশকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বুদ্ধিজীবী দিবস পালন