ডিসেম্বরের মধ্যে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ শতাংশ পূরণ হবে

অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১ | ১২:১২ পূর্বাহ্ণ
আমার দেড় বছরই গেল ডেঙ্গু আর করোনায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ শতাংশ পূরণ হবে : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যেভাবে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশে ভ্যাকসিন আসছে, এতে করে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৫০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।

আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেশে দ্রুততম সময়ে টিকা আসা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজে এই মুহূর্তে কোনো ভ্যাকসিন উৎপাদন না করলেও, দেশে এখন পৃথিবীর উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ভ্যাকসিন চলে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক মহলে সম্পর্কের কারণে।’

তিনি বলেন, দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদেরকেও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে দেশের সব মানুষই টিকা পাবে।

এখন থেকে প্রতি মাসে দেশে অন্তত ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের সিনোফার্মের টিকা চুক্তি অনুযায়ী চলে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী আরও টিকা আসা শুরু হয়ে গেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকাও চলে আসছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও দেশে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরাও ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছি স্বাস্থ্যখাত চাইলে একদিনে ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব। কাজেই চাহিদা অনুযায়ী এখন থেকে দেশে প্রতি মাসে ৩ কোটি ডোজ টিকা চলে এলে আমরা সেগুলো ভালভাবেই মানুষকে দিতে সক্ষম হব।’

প্রধানমন্ত্রী বারবার স্বাস্থ্যখাতের প্রশংসা করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অথচ এক শ্রেণির মানুষ জেনে বা না বুঝেই দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ঢালাও সমালোচনা করে গেছে। এই সমালোচনা তারা এজন্যই করেছে কারণ তারা জানে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে দেশের সব শ্রেণির মানুষের আগ্রহ রয়েছে। তারা জানে, স্বাস্থ্যখাতের সমালোচনার মাধ্যমে সরকারকে বিব্রত করা সব থেকে সহজ। স্বাস্থ্যখাতের মাধ্যমে তারা আসলে সরকারকে বারবার বিব্রত করতে চেয়েছে। আশার কথা হচ্ছে, প্রতি ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যের কাছে সমালোচকরা চুপসে গেছে এবং হেরে গেছে। সামনে আবারও এরকম কঠিন সময় আসতে পারে। কাজেই স্বাস্থ্যখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই আরও সতর্ক থাকতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীদের নানারকম দাবির কথাগুলো শোনেন ও সবগুলো দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় করোনা মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা ও আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলে, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবাদুল করীম এমপি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ এর মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ। সভায় মূল প্রতিপাদ্য পাঠ করেন ইউএইচএফপিও-এর আহ্বায়ক ডা. মোবারক হোসেন।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা
পরবর্তী নিবন্ধওয়াইফাই সুবিধা পাবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান