টানা ক্ষমতায় থাকার কারণেই সুফল পাচ্ছে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৮:৩৫ অপরাহ্ণ | 209 বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বিমানে উঠলে গর্বে বুক ভরে যায়। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারি অফিসাররা যে যেখানেই যান, বাংলাদেশ বিমানেই যেতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আকাশপথে চলাচলের সময় যে রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট আছে, সেসব ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বহু দেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও তাদের মূল্যস্ফীতি বেশি। আমরা প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ধরে রাখতে পেরেছি।
বিএনপি সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন যারা ক্ষমতায় ছিল তখন দেশের দিকে তাকানো, জনগণের দিকে তাকানো বা দেশের অবস্থান দেখার খুব একটা দৃষ্টি ছিল না। যেহেতু তাদের ক্ষমতা দখল ছিল অবৈধভাবে প্রেসিডেন্সির ক্ষমতা নিয়েছিল, তাই স্বাভাবিকভাবেই তাদের সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করার দিকে যতটা দৃষ্টি ছিল, ততটা দৃষ্টি দেশের উন্নয়নে ছিল না। তারা শুধু রুটিন ওয়ার্ক করে যেত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই অবস্থান থেকে উত্তোরণ ঘটানোর জন্য যখনই আমরা ক্ষমতায় এসেছি, আমরা প্রচেষ্টা চালিয়েছি। আজকে বাংলাদেশ একটা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জন অনেক বেশি। অনেক দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। পৃথিবীর বহু দেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও তাদের মূল্যস্ফীতি বেশি। আমরা প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ধরে রাখতে পেরেছি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যেই আমাদের দশটি প্লেন চলে এসেছে। অরুণ আলো, গাঙচিল ও পালকী, হংসবলাকা, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, আকাশবীণা, ময়ূরপঙ্খী ও রাজহংস। এসব নামকরণ আমি করেছি। আমরা চেয়েছি যে একটা সুন্দর নামকরণ হোক।

তিনি বলেন, ৭৮৭ বোয়িং চারটি এসেছে। আরও তিনটি বিমান আমরা কিনব। একটানা ক্ষমতায় থাকার কারণেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সুফল পাচ্ছে জনগণ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, সচিব মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন।

মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা

পূর্ববর্তী নিবন্ধখুবিতে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধযবিপ্রবিতে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বিষয়ক সেমিনার