জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) এ পুকুর ও বটগাছ রক্ষায় গ্রীন ক্যাম্পাসের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী আর্ট ক্যাম্প।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুদ্বীপে চলবে আজ সোমবার পর্যন্ত।
আর্ট ক্যাম্পে তাৎক্ষণিকভাবে ক্যানভাসে চারুদ্বীপের বটতলা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতির চিত্র আঁকছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। দুই দিনের এই আর্ট ক্যাম্পে চারুকলা বিভাগের প্রায় ২৫ জন শিল্পীর অংশ নিয়েছেন। তাদের আঁকায় উঠে এসেছে প্রাণ-প্রকৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়। অংকিত চিত্রকর্মগুলো দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত।
গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে চারুদ্বীপের বটগাছ ও পুকুর ধ্বংস করে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে শুরু হয়েছিলো গ্রীন ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের আন্দোলন।
শিক্ষার্থীরা দাবি জানায়, পুকুর ও বটগাছ রেখেই যেন ভবন নির্মিত হয়। দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগের পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ‘এইচ’ আকৃতির ভবনের নতুন নকশা দেয়। যাতে এইচ শেপের ভেতরে বটগাছটি রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি, এভাবে রেখে দিলে বটগাছটি মারা যাবে এবং বটগাছকে ঘিরে পয়লা বৈশাখসহ যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো হয়ে থাকে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। বটগাছ চলে যাবে ভবনের ভেতরে। আর বটগাছের সামনে যে উন্মুক্ত পরিসর রয়েছে তা ভবন নির্মাণের কারণে থাকবে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন নির্মিত হলে তা হবে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ। প্রকৃতি ধবংস হবে, বন্ধ হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি।
ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নতুন নকশা তৈরি করে, যেখানে বটগাছ ও পুকুর রেখেই ভবনের নকশা প্রস্তাব করে তারা। তাদের দাবি, ঠিক এমন একটি নকশা করতে পারে প্রশাসন। যাতে রক্ষা পাবে প্রকৃতি ও সংস্কৃতি। তবে প্রশাসন থেকে কোনো সাড়া এখনো পর্যন্ত মেলেনি। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কর্মসূচি এখনো চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, আর্ট ক্যাম্পের আগে বটমূলে হয়েছে তিনদিন ব্যাপী প্রতিবাদী লালন স্মরণোৎসব।
মুক্ত ক্যাম্পাস/তিতলি/জেডআর