চীনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ | ৬:৩৭ অপরাহ্ণ | 276 বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং’র আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে চীনের দালিয়ানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

সোমবার বিকাল সোয়া ৫টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী যাত্রা শুরু করেন।

স্থানীয় সময় রাত ১২টার পরে ডালিয়ানের ঝৌশুইজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে শাংগ্রিলা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে।

ডালিয়ানে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় অংশ নেওয়ার সময় এ হোটেলেই অবস্থান করবেন শেখ হাসিনা।

সফরকালে তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিবেন এবং বেইজিং এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংও প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

আজ চীনের দালিয়ানে তিন দিনব্যাপী ‘ডব্লিইএফ অ্যানুয়েল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯’ শুরু হবে। যা ডব্লিউইএফ সামার দাভোস নামেও পরিচিত।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘লিডারশিপ ৪.০- সাকসিডিং ইন এ নিউ এরা অব গ্লোবালাইজেশন।’

তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে আশা করা হচ্ছে।

‘সামার দাভোস’ নামে পরিচিতি পাওয়া ডালিয়ানের এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, শিক্ষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

শেখ হাসিনার এই সফর তার গত মেয়াদের বেইজিং সফরের চেয়ে ভিন্ন হচ্ছে। ওই সফরে মূলত বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া হলেও এবার রোহিঙ্গা ইস্যুকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।

তিনি শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৪ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি তুলবেন।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসতে শুরু করার পর থেকেই এই সংকট সমাধানে তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র চীনের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ আসছিল।

চীন সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৬ জুলাই বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং একইদিন বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) পৌঁছাবেন।

চীন সফরকালে বাংলাদেশ এবং চীন অর্থনৈতিক, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে।

এগুলো হচ্ছে-

১. ডিপিডিসি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালীকরণে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি।

২. গভর্মেন্ট কনসেশনাল লোন এগ্রিমেন্ট অব এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেন্দেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিডিডিসি এরিয়া প্রজেক্ট।

৩. প্রেফারেন্সিয়াল বাইয়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট অব এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেন্দেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া প্রজেক্ট।

৪. ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অব পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেন্দেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি প্রজেক্ট।

৫. এগ্রিমেন্ট অন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন বিটুইন দি গভর্নমেন্ট অব দি পিপল’স রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অব দি পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না।

৬. মেমোর্যান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) অন দি ইস্ট্যাবলিশমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ।

৭. এমওইউ অ্যান্ড ইটস ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান অন হাইড্রোলজিক্যাল ইনফরমেশন শেয়ারিং অব ইয়েলো জাংবো/ব্রহ্মপুত্র রিভার।

৮. সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পর্যটন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৭ জুলাই হরতাল
পরবর্তী নিবন্ধ৩৩৩ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন দুবাইয়ের প্রিন্সেস হাইয়া