চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় একটি মাদ্রাসার এতিমখানার বারান্দা ধসে এক শিক্ষকসহ ৫৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। মাদ্রাসার কমপ্লেক্সের আল আমিন এতিমখানায় শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০-১২ জন শিক্ষার্থীর হাত-পা ভেঙে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ঝূঁকিপূর্ণ তিনতলা মাদ্রাসাটি ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেখানে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে।
আহতদের মধ্যে মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়ামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকিদের চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতাল, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে মো. হোসেন নামে এক শিক্ষক রয়েছেন।
ফরাজীকান্দি উয়েসিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আতাউল করিম মুজাহিদ বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান নিয়ে আলামিন এতিমখানার দোতলায় শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্ররা সভা করছিল। রাত ১০টার দিকে বারান্দাটির ফ্লোর ধসে পড়ে। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিচতলায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্র ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
আল আমিন মাদ্রাসার ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. ইসমাইল হোসেন জানান।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভবনটি খুবই ঝূঁকিপূর্ণ। ভবন নির্মাণে কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছিল না। এটি বসবাসের অনুপযোগী।’
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এতিমখানার তিনতলা ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মুক্ত ক্যাম্পাস/টিআর