চবি ছাত্রীকে বাসে যৌন হয়রানির ঘটনায় আটক ৩

চবি প্রতিনিধি:
রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৩:৩৫ অপরাহ্ণ | 133 বার পঠিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে যৌন হয়রানির চেষ্টা ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) দামপাড়া পুলিশ লাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- চট্টগ্রামের টু কক্সবাজার রুটের স্থানীয় সোহাগ এক্সপ্রেস বাসের বাসচালক এহছান করিম (৩২), সুপারভাইজার আলী আব্বাস (৩০) ও হেলপার মো. ভুট্টু (৩০)। তাদের সবার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকায়।

আমেনা বেগম বলেন, পটিয়া থানার মুন্সেফ বাজার এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী চট্টগ্রামের থেকে কক্সবাজার রুটের স্থানীয় সোহাগ এক্সপ্রেসে নামের একটি বাসে শহরে আসার উদ্দেশ্য উঠে। পরে বাসটি নতুন ব্রীজ এলাকায় আসলে অধিকাংশ যাত্রী নেমে যায়। তখন বাকি যাত্রীরাও চান্দগাঁওয়ে নেমে যায় গেলে ওই ছাত্রী বাকি যাত্রীদের সাথে নেমে যেতে চায়। কিন্ত বাসের হেলপার ছাত্রীটির গন্তব্য ২ নং গেইট নামিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

আমেনা বেগমবলেন, এরপর বাসটি হেলপার বাসের দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন ওই ছাত্রী দরজা বন্ধের কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার গাড়ি আরো দ্রুত চালাতে থাকে। তখন ছাত্রীটি ৯৯৯ এ কল দিতে চাইলে বাসের সুপারভাইজার তার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন মেয়েটি দরজায় গিয়ে দরজা খোলার জন্য চিৎকার করে বাসের দরজায় লাথি দিতে থাকে। তার চিৎকারে আসামিরা দরজা খুলে দিতে বাধ্য হয়।

তিনি বলেন, পরে এই সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে পুলিশ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চান্দগাঁও থানার বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের টু কক্সবাজার রুটের স্থানীয় সোহাগ এক্সপ্রেস বাসের চালক এহসান করিম, সুপারভাইজার আলী আব্বাস ও হেলপার ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এর আগে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, পটিয়া থেকে চট্টগ্রামে ফেরার জন্য মুন্সেফবাজার এলাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে তিনি ওঠেন। বাসের দুই সহকারীর মধ্যে একজন ভাড়া নিতে এসে তার কাছে জানতে চান কোথায় নামবেন তিনি। উত্তরে শহরের দুই নম্বর গেটে নামার কথা বলেন ওই ছাত্রী। কথোপকথনের একপর্যায়ে সহকারীকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, দুই নম্বর গেইট যেতে বাস থেকে কোথায় নামলে সুবিধা হবে। ওই সহকারী বাস টার্মিনালে নামার পরামর্শ দেন তাকে। বাস টার্মিনাল এসে যাত্রীদের সঙ্গে তিনিও নামতে চাইলে সহকারী এগিয়ে এসে তাকে দুই নম্বর গেটে পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন। তবে বাসচালক ও সহকারীদের দেখে তার মনে সন্দেহজনক হয়।

তিনি বলেন, সে কারণে একপর্যায়ে দুই সহকারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তার। তিনি চিৎকার করে তাদের কাছ থেকে নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে রাস্তার কিছু মানুষ বিষয়টি খেয়াল করেন। সে কারণে পরে বাস থেকে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় বাসের নম্বর দেখতে ভুলে গিয়েছিলাম।

মুক্ত ক্যাম্পাস/টিআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইএসের টুপি কিভাবে এলো জানে না কেউ-তাহলে জানে কে? প্রশ্ন হাইকোর্টের
পরবর্তী নিবন্ধসিঁড়িতেই ক্লাস নিলেন সেই ঢাবি শিক্ষক, উপস্থিতি প্রায় শতাধিক