মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরেের মোট ১৩ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর ডেটা বিশ্লেষণ করে এ.আই প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে সফলতার দেখা পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আহমেদ কাওছার। ঘরে বসেই ‘করোনায় ডাক্তার’ এর ভূমিকা পালন করবে কাওছারের সফটওয়্যার।
এতে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এস কে ফয়সাল আহমেদ এবং চুয়েটের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী অভিষেক দাস
সফটওয়্যারটি তৈরির বিষয়ে আহমেদ কাওছার বলেন, এটি সম্পূর্নভাবে একজন ডাক্তারের মত কাজ করতে সক্ষম, ঠিক যে যে লক্ষণগুলো দেখে ডাক্তার একজন রোগীকে করোনা শনাক্ত করতে পারে এসকল উপসর্গ এতে দেওয়া হয়েছে। ফলে কারো শরীরে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা কিংবা টেষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা সেটা খুব সহজেই এটি বলে দিতে সক্ষম।
পাশাপাশি এটি নতুন রোগী হতে প্রাপ্ত তথ্য নিজে নিজে শেখার ব্যবস্থা রয়েছে যেটি অনলাইন মেশিং লার্নিং কে আরও নিখুঁত করে তুলবে।
এছাড়াও এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফল প্রয়োগ করা দেখানো হয়েছে যেটি কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সমন্বয় সাধন করবে।
এখানে, বাংলা ভয়েস রিকোগনিশন, বাংলা ভাষা প্রসেসিং, বাংলা চ্যাটবট, মেশিং লার্নিং ক্লাসিফাইয়ার ও ওয়েব অ্যাপস ব্যবহার করা হয়েছে যাতে করে এই এ.আই প্রোগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়। এবং রোগীর চিকিৎসা নির্ণয়ে সূক্ষ থেকে সূক্ষ লক্ষণগুলো নির্ণয় করার মাধ্যমে সেগুলো বিশ্লেষণ করে নতুন করোনা রোগী সনাক্ত করার ক্ষেত্রেও এটি অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।এছাড়াও ডাক্তারদের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে যেটি ডাক্তারের হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে কাজ করবে।
আমাদের সাথে ফেসবুক পেজে কানেক্ট থাকুন: মুক্তক্যাম্পাস
মুক্ত ক্যাম্পাস/নোমান/জেডআর