ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে গতকাল রবিবার সকালে ন্যাশনাল জার্নালিজম স্টুডেন্টস ফেস্ট-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। সারা বাংলাদেশের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন, বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিল (বিজেএসসি) কতৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা”।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “আমেরিকান কনটেক্সটে সাংবাদিকতা কেন্দ্রিক পড়াশোনা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বশ্রেষ্ঠ লেখাপড়া। অতএব নিজেদের এবং সমাজকে স্মরণ করে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। উদার মনমানসিকতা না থাকলে একজন ভালো সাংবাদিক হওয়া যাবে না। কারণ একজন ভালো মানুষই হতে পারে একজন ভালো সাংবাদিক।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান খান ভোলার বোরহানুদ্দীনের ঘটনা, রামু, নাসিরনগর, রংপুর, ব্রাহ্মনবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ্য করে বলেন, ‘‘গুজব মানুষের আস্থার জায়গাটাকে দোদুল্যমান অবস্থায় নিয়ে যায়। সরকার প্রায়ই গুজব-উসকানির মুখোমুখি হয়। গণমাধ্যমই এই তথ্যবিভ্রান্তি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে পারে। এজন্য গুজব প্রতিরোধে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিদিন আমাদের দেশে নানাভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। আর এটা সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে ফেইসবুকের মাধ্যমে। আমরা প্রথমে গুজব দ্বারা নানাভাবে প্রভাবিত হই। তারপর যখন গণমাধ্যমগুলো এ নিয়ে কথা বলে, তখন আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারি।” গুজব প্রতিরোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা যে কোনো ঘটনা আগে নিজের বিবেক দ্বারা বিবেচনা করুন, তারপর বিশ্বাস করুন।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “ফেইক নিউজের প্রভাবে সারাবিশ্ব আজ উদ্বিগ্ন। তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যম সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখে। তারা তাদের নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে না। তাদেরকে সবসময় নিরপেক্ষভাবেই সংবাদ প্রকাশ করতে হয়।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজেএসসির সভাপতি সনজিৎ সরকার উজ্জ্বল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বিজেএসসির সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি শেখ আদনান ফাহাদ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক কাজী আব্দুল মান্নান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান সেলিম আহমেদ।
মুক্ত ক্যাম্পাস /নাহরাইন/এনআর
