গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে কেন্দ্র-নির্ধারণী স্কোর

এমসি রিপোর্ট
রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ
গুচ্ছ আবেদনে ফি দিগুণের বিষয়ে যা জানা গেল
ফাইল ছবি

আগামী ১ এপ্রিল থেকে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পারবেন। এরপর প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষে আগামী ১৯, ২৬ জুন ও ৩ জুলাই গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দেশিকাটি ভর্তির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।

গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে কেন্দ্র-নির্ধারণী স্কোর

ভর্তির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চূড়ান্ত আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের ৩১টি পরীক্ষাকেন্দ্র মধ্যে নূন্যতম ৫টি কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় রাখতে হবে। এইচএসসি/সমমান কোর্সের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান, এসএসসি ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, পাসের বছরসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিবেচনাপূর্বক নিম্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি কেন্দ্র-নির্ধারণী স্কোর (সর্বোচ্চ ১০০) প্রস্তুত করা হবে।

কেন্দ্র-নির্ধারণী স্কোর হবে যথাক্রমে-

১) স্কুল/কলেজের অবস্থান (কেন্দ্র হতে দূরত্ব): ৪০ (সর্বোচ্চ)

২) প্রাপ্ত নম্বর (এসএসসি ও এইচএসসি): ৪০ (সর্বোচ্চ)

৩) পাশের বছর (২০১৯-০৫, ২০২০-১০): ১০ (সর্বোচ্চ)

৪) ছেলে/মেয়ে (ছেলে-০৫; মেয়ে-১০): ১০ (সর্বোচ্চ)

ভর্তির নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, প্রাপ্ত স্কোর ও কেন্দ্রের পছন্দ ক্রমের ভিত্তিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে। নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনের কোন সুযােগ নাই।

ভর্তির নির্দেশিকার তথ্য মতে, শিক্ষার্থীরা একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পূর্বক প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে উল্লেখিত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) সংশ্লিষ্ট একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। দুটি পর্যায়ে আবেদন করতে হবে– প্রাথমিক আবেদন ও চূড়ান্ত আবেদন (প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে চুড়ান্ত আবেদনের যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হলে)।

ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে প্রতিনিটি ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ সর্টিং ক্রাইটেরিয়া ক্রমানুসারে ব্যবহার করে প্রাথমিক আবেদনকারীদের মেধাক্রম প্রস্তুত করা হবে। প্রতিটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড়লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে নির্দেশিকায় বলা হয়।

বিজ্ঞান শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ৬ সর্টিং ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে– এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ; এসএসসি ও এইচএসসির মার্কস; এইচএসসির পদার্থের জিপিএ; এইচএসসির পদার্থের মার্কস; এইচএসসির রসায়নের জিপিএ; এইচএসসির রসায়নের মার্কস।

তাছাড়া বাণিজ্য ও মানবিক শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ৬ সর্টিং ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে– এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ; এসএসসি ও এইচএসসির মার্কস; এইচএসসির বাংলার জিপিএ; এইচএসসির বাংলার মার্কস; এইচএসসির ইংরেজির জিপিএ; এইচএসসির ইংরেজির মার্কস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকলিমউল্লাহর অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত: বেরোবি যাচ্ছে ইউজিসি প্রতিনিধি
পরবর্তী নিবন্ধউচ্চশিক্ষা চর্চায় পরিবর্তন ঘটাবে ব্লেন্ডেড লার্নিং : সাঈদ আল নোমান