সীমিত যাত্রী নিয়ে দেশে গণপরিবহন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ বুধবার (২৭ মে) রাত ৮টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে সব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সীমিত যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। নৌপরিবহন, ট্রেনও চলবে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশেই গণপরিবহন চলাচল করতে পারে। কারণ অনেক মানুষেরই ব্যক্তিগত গাড়ি নেই, তাদেরও যাতায়াত করা প্রয়োজন। সেজন্য ১৫ দিনের জন্য সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করা হবে।‘
‘৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত আমরা এসব নিয়মকানুন কতটুকু মানতে পারলাম সেটা দেখে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে‘, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ৩১ মে থেকে সব ধরনের অফিস স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হবে বলেও প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে চলবেগ।
তিনি জানান, বয়স্ক, অসুস্থ এবং সন্তান সম্ভবাদের এ সময় অফিসে আসা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন করে ছুটির মেয়াদ না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধিসহ বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছুটি বাড়বে না। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত আকারে চালু রাখা হবে। পাশাপাশি নাগরিক জীবনের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তবে তখন তিনি বলেছিলেন, অফিস খুললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে এগুলো ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধই থাকছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, তবে অনলাইন বা ভার্চুয়াল ক্লাস চলবে।
এরপর গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি।
তখন মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য যানবাহন ও ব্যক্তিগত যানবাহন চালু থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চালাতে পারবে।
গত দুই মাস সব কিছু বন্ধ ছিল। এভাবে থাকলে অর্থনীতিসহ বেসরকারিখাতগুলো আরও ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে জীবিকার সঙ্কটে পড়া পরিবহণ শ্রমিকরা বিক্ষোভেও নেমেছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যেই গত ২৬ এপ্রিল কিছু পোশাক কারখানা পুনরায় চালু করা হয় এবং কারখানার মালিকরা দাবি করেন যে তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে শুধু ঢাকায় উপস্থিত কর্মীদের মাধ্যমে কাজ করছেন।
প্রিয় পাঠক, দেশ বিদেশের সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের সাথে ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত থাকুন: মুক্ত ক্যাম্পাস গ্রুপ
মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা