করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হয়। মন্ত্রী জানান, ‘অন্যান্য কারখানাও আমরা খুলে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১১ তারিখ থেকে দোকানপাট, যানবাহনও চলবে। তবে সব একত্রে না। আমরা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অনুরোধ করবো, বাই রোটেশনে যাতে চলে। গাজীপুর থেকে ১০০ গাড়ি প্রতিদিন ঢাকায় আসে। ১০০ না, ৩০টি আসুক বা ৫০টি আসুক। আজ এগুলো যাবে তো কালকে অন্যগুলো যাবে। এরকম তারা নির্ধারণ করে দেবেন। শ্রমিক, পরিবহন নেতা এবং পরিবহনর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। লঞ্চ, স্টিমার আছে, রেল আছে, সেগুলোও চলবে। কিন্তু অতীতে যে পরিমাণে চলেছিল, সে পরিমাণ না চলে সীমিত আকারে…। কর্তৃপক্ষ সেগুলো নির্ধারণ করে জনগণকে অবহিত করবেন। যেমন রেল হয়তো ১০টা চলতো, এখন ৫টা চলবে। কোনটা কখন ছাড়বে এবং কীভাবে যাবে, এগুলো স্ব স্ব মন্ত্রণালয় ও ডিপার্টমেন্ট জনগণকে অবহিত করবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অবশ্যই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর মার্চের ৮ তারিখ করোনার প্রথম সংক্রমণ দেশে ধরা পরে। দ্বিতীয় ধাক্কায় চলতি বছরের জুন মাসে অবস্থা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছালে ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এসময় গণপরিবহনের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সরকারি বেসরকারি অফিস এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ঈদুল আজহার উপলক্ষ্যে আটদিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। পরে ২৩ জুলাই থেকে আবারও বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, যা আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলার কথা ছিল। বিধিনিষেধ চলমান অবস্থায় আজ মঙ্গলবার তা আরও বাড়ানো হলো।