করোনা সংকট মোকাবেলায় বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক সবজি বাগান

মোঃ রাসেল আহাম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সোমবার, ২৪ আগস্ট ২০২০ | ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

করোনাকালীন ও পরবর্তী কৃষি সংকট মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থাপন করা হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশী পারিবারিক সবজি বাগান। কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।সরকারি প্রণোদনার আওতায় বাগান সৃজনের জন্য এসব পরিবারগুলোকে নগদ টাকা ছাড়ও সার, বীজ ও অন্যান্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এতে কৃষকরা নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের সুবিধা পাবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা মেটাতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩২টি করে পারিবারিক সবজি বাগান স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে এজন্য নগদ ১৯৩৫ টাকা ও বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজির বীজ, সৃজিত বাগানের বেড়াসহ ২৬শ টাকার সুবিধা দেয়া হয়েছে। গত ২৪ জুন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। যার ১ শতাংশ জায়গা রয়েছে এমন সব পরিবারকে বাড়ির আঙ্গিনায় বাগান স্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। প্রতিটি বাগানে রয়েছে ৫ টি বেড।

আরও পড়ুন

এসব বেড ও বাগানের বেড়ায় পুই শাক, ডাটা শাক, লাল শাক, লাউ, কলমী শাক, বড়বটি সহ অন্তত ৮ প্রকারের সবজির চাষ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ১ টি পরিবারের জন্য অন্তত আড়াইশো গ্রাম সবজি প্রয়োজন হলেও উচ্চ মূল্যের কারণে এবং করোনা পরিস্থিতিতে অনেকের পক্ষেই সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

বাগান স্থাপনের ফলে নিম্ন আয়ের এসব মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে বছরে ১২ শ থেকে ২ হাজার টাকার বাড়তি উপার্জন করতে পারবে। সারাবছর এসব বাগান থেকে উপকৃত হবার পাশাপাশি বাগান তৈরীর অভ্যাস গড়ে উঠে সেই লক্ষ্যেই সরকারি প্রণোদনার আওতায় এই পারবারিক সবজি বাগানগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

সবজি বাগানের মালিক তালুকদার হোসেন ও সাজ্জাদ মিয়া মুক্ত ক্যাম্পাসকে জানান, করোনার এই সময়ে আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি বাগান করে একদিকে পরিবারের সবজির চাহিদা মিটেছে। অন্যদিকে সামান্য বাড়তি আয়েরও ব্যবস্থা হয়েছে। যাদের বাড়ির আঙ্গিনায় সামান্য জায়গা আছে, অবসর সময়ে সবজি বাগান করে উপকৃত হবে বলে আমরা মনে করি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার বলেন, করোনাকালে এসব বাগান পুষ্টির চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উৎস হবে। যারা আমাদের সাথে যোগযোগ করছেন তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/রাসেল/এসকে

পূর্ববর্তী নিবন্ধধৈর্য ও আন্তরিকতার সাথে জনগণকে সেবা দিতে হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪২, শনাক্ত ২৪৮৫