সম্প্রতি রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় ঝড়ের রাতে ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বাড়ির মালিক। এমন অমানবিক আচরণের মধ্যেও মানবিকতার নজির গড়লেন এক বাড়ি মালিক। করোনা যতদিন থাকবে ততদিন ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে গত মার্চ ও চলতি মাসের ভাড়াও নেননি তিনি। রাজধানীর সায়েদাবাদের ওই বাড়ি মালিকের নাম শেখ শওকত আলী। তার এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক বাড়ি মালিক ভাড়া মওকুফের কথা ভাবছেন। তিনি নিজেই গণমাধ্যমকে এটি নিশ্চিত করেছেন।
শওকত আলী জানান, তার দুটি বাড়িসহ কয়েকটি দোকান রয়েছে। যেগুলোতে প্রায় ৩৫জন ভাড়াটিয়া থাকেন। যেখান থেকে তিনি প্রতিমাসে অন্তত চার লাখ টাকা ভাড়া পান। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তার ভাড়াটিয়াদের মধ্যে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। মানবিক কারণেই তিনি গত দুই মাসের সব ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন। করোনাভাইরাস যতদিন থাকতে ততদিন তিনি বাড়ি ভাড়া নিবেন না বলেও ঘোষণা দেন। এ ছাড়া প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার মাঝে চাল, ডাল, আলু, লবণ, চিনি ও সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও বিতরণ করে চলেছেন তিনি।
শওকত আলী বলেন, আমি আশা করি এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার সব বাড়ি মালিক এ ধরনের উদ্যোগ নেবেন। কারণ ঢাকায় যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাদের বেতন বা আয়ের অর্ধেকই বাড়ি বাড়ায় চলে যায়। এটা মওকুফ করে দিলে মানুষকে আর কারও কাছে হাত পাততে হবে না। এই উদ্যোগ নিলে মধ্যবিত্তসহ সবার উপকার হবে। এতে রাষ্ট্রের ওপরেও চাপ কমবে।
তিনি আরও বলেন, মাত্র এক মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় কলাবাগানের একজন বাড়ি মালিকের কাণ্ড আমাকে পীড়া দিয়েছে। প্রতিদিন এমন অহরহ ঘটনা ঘটছে। আগামী মাস থেকে অনেক ভাড়াটিয়া ভাড়া দিতে পারবেন না। তাই আমি সব বাড়ি-মালিকদের অনুরোধ করবো তারা যেন এমন উদ্যোগ নেন।
আমাদের সাথে ফেসবুক পেজে কানেক্ট থাকুন: মুক্তক্যাম্পাস
মুক্ত ক্যাম্পাস/এসআর/জেপি