করোনা ভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয় নিয়ে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ | ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ
 ২০২০-২১ অর্থবছরে সুদ বাবদ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। চলতি অর্থবছরে সুদ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে এ ব্যয় আরও একধাপ বাড়িয়ে ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধরা হচ্ছে। এ খাতে ছয় হাজার ৪৩২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে।
 
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সুদ বাবদ ব্যয় বাড়ছে। পুরো নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় সংস্কার আনতে হবে। তা না হলে এখান থেকে বের হয়ে আসা যাবে না।
 
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবছর রাজস্ব বাজেটের বিরাট একটি অংশ সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা এবং সুদ বাবদ খরচ হবে। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে এ সুদ ব্যয় নতুন মাত্রা পাচ্ছে। ইতিহাসের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি সুদ ব্যয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে।
 
বাজেট তৈরির সাথে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, দিন দিন বাড়ছে বাজেটের আকার। মহামারী করোনার মধ্যে সারাদেশের ব্যবসা, বাণিজ্য, উৎপাদন, বিপণন সবই সংকুচিত হয়েছে পড়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়বে রাজস্ব আহরণে। ফলে সরকারের আয় কমবে। বাড়বে ব্যয়। প্রণোদনা খাতেও ব্যয় বাড়ছে। এর সুদ সরকারকেই দিতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমিয়ে আনা হয়েছে। আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে। তাই ব্যাংক ঋণই সরকারের মূল ভরসা। ফলে সুদ ব্যয় বাড়ছে আগামী বাজেটে।
 
মূলত করোনা ভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয় নিয়ে শঙ্কা এবং অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে সরকারের দেওয়া ১ লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনার ব্যয়ভার মেটাতে এ পরিমাণ সুদ ব্যয় ধরা হচ্ছে। তা ছাড়া অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারের মূল ভরসা হচ্ছে ব্যাংক ঋণ। নানা বিধি-নিষেধ আরোপ ও করোনার প্রভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ব্যাংক থেকে ৭২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে।
 
বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সুদ খাতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৫১ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে ৫৭ হাজার ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সুদ পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে ৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৪১ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৫ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যয় হয় ৩১ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা।

 

মুক্ত ক্যাম্পাস/রিফাত

পূর্ববর্তী নিবন্ধডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থার অবনতি
পরবর্তী নিবন্ধএশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি