করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবিতে চার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেছে। অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন, কে এম তূর্য, জুনায়েদ হোসেন খান, ইয়াসির আরাফাত প্লাবণ ও হাসান বিশ্বাস। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা ভাইরাস আজ বিশ্বায়নের প্রভাবে সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। সময়োপযোগী পরিকল্পনা না থাকায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপর থেকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক সঞ্চার হয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে করোনার বর্তমান এই অবস্থা বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষের সকল গনসমাবেশ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিল্লি, কেরালা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্রিশগড়ের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার আজ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
এতকিছুর পরেও প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তারা আরো জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে গণরুম সমস্যা অন্যতম৷ বৈধ সিট না পেয়ে গাদাগাদি করে থাকতে হয় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের। তুলনামূলক ছোট ক্যাম্পাসে অত্যাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসবাস করায় আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাসটি মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। এছাড়াও হল ক্যান্টিন, চায়ের দোকান, খেলার মাঠ, টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, কলাভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার, কার্জন হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল, যেখানে শিক্ষার্থী সমাগম অনেক বেশি, সেসব জায়গা থেকে খুব সহজেই ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।
মুক্ত ক্যাম্পাস/মিরহাজ/জেডআর