করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ | ৫:০৬ অপরাহ্ণ | 103 বার পঠিত
করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা

চীনের উহান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মহা মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, নতুন করোনাভাইরাসটি যেভাবে ছড়াচ্ছে তা ‘নজিরবিহীন’, আর যেভাবে সেটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে, সেটাও আর ঘটেনি।

মধ্য চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাদের ধারণা, মানুষের দেহে এ রোগ এসেছে কোনো প্রাণী থেকে। তারপর মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থা থাকা দেশগুলোতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে নিজ নাগরিকদের চীন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট নাগরিকদের চীন সফরের ওপর চতুর্থ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে। এর আগে স্টেট ডিপার্টমেন্ট মার্কিন নাগরিকদের চীনে যাওয়ার বিষয়টি ‘পুনর্বিবেচনা’ করতে বলেছিল।

সবশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, চীনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিকের উচিত বাণিজ্যিক উপায়ে দেশটি ছাড়ার চিন্তা করা। করোনা ভাইরাসে চীনে কমপক্ষে ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার বেশিরভাগই হয়েছে সংক্রমণের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

ডব্লিউএইচও বলছে, চীন বাদে বাকি ১৮টি দেশে ৯৮ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে সেসব দেশে কারো মৃত্যু হয়নি।

এদিকে, করোনভাইরাসে একজন আক্রান্তের শঙ্কার পর ইতালির একটি প্রমোতরীতে প্রায় ৭ হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। রোমের সিভিটাভেচিয়া বন্দরের কাছাকাছি ইতালিয়ান সংস্থা কোস্টা ক্রোসিয়ারের এক প্রমোদতরীতে ছিলেন চীন শাসনাধীন ম্যাকাউয়ের এক দম্পতি। স্ত্রীর জ্বরে আক্রান্ত হলে জাহাজে থাকা তিনজন চিকিৎসক ও একজন নার্স তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান।

এছাড়া, মহামারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় তুরস্কের সরকারি বিমানসংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্স চীনের মূল ভূখণ্ডে তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে। ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ অবস্থা বহাল থাকবে। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিমান সংস্থাটি।

মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমকে

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালিয়ায় কৃষকলীগ নেতার রগ কর্তন
পরবর্তী নিবন্ধআগামীকাল ভোলায় যাচ্ছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী