আগামী ২৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও সমমানের (এসএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১ অক্টোবর পরীক্ষা শেষ হয়।
সোমবার ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার।
তিনি বলেন, আমরা ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বরের যে কোন একটি তারিখে ফল দেয়ার সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রস্তাবিত তিনটি তারিখ প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়। সেখান থেকে তিনি ২৮ নভেম্বর নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’
রেওয়াজ অনুযায়ী, ফল প্রকাশের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা। এসময় তিনি ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। পরে দুপুরের দিকে বিস্তারিত ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ২৮ নভেম্বর
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ১ অক্টোবর উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়। ১০ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।
এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।
মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ। দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এ ছাড়াও দেশের বাইরে ৮টি দেশে ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষার ফল পেতে উদগ্রীব হয়ে আছেন কয়েক লাখ পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
করোনাভাইরাস মহামারীতে প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকায় এ বছর পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান- এসব বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।