এবার ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | ৪:১৬ অপরাহ্ণ

চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী ভারতে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরালায় নভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় এক শিক্ষার্থীর শরীরে।

দেশটির সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী পাওয়া গেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত ওই রোগী চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তাকে কেরালার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

ভারতের জ্যেষ্ঠ সরকারি এক কর্মকর্তা বলেছেন, আক্রান্তের ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র উহান থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার চেয়ে অন্য কোনও উত্তম বিকল্প নেই। নাগরিকদের ক্রমাগত চাপের কারণে উহান থেকে ভারতীয়দের ফেরত আনতে একটি বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উহানে ভারতীয় অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন; যারা সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

চলতি সপ্তাহেই উহান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভারত সরকার একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান প্রস্তুত রেখেছে। কিন্তু চীন সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত এখনই বাস্তবায়ন করতে পারছে না ভারত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় এই কর্মকর্তা বলেন, এই ভাইরাসে যারা সংক্রমিত হননি, শুধুমাত্র তাদেরকে বিমানে করে ফিরিয়ে আনা হবে। সেখান থেকে আনার পর দিল্লির বাইরে একটি স্থাপনায় তাদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া নিজ নাগরিকদের চীন থেকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করায় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের ফেরানোর দাবি জোরাল হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে উহান থেকে ১৯৫ মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়েছে।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ২১০ জন জাপানিকে টোকিওর একটি চার্টার্ড বিমানে করে চীন থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে বুধবার আরও ২০৬ জনকে জাপানে ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই জাপানিদের মধ্যে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, চীনে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। চীন সরকার দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হুবেই প্রদেশেই মৃত্যু ৩৭ জনের। ওই জায়গাকে করোনা ভাইরাসের ‘এপিক সেন্টার’ বলা হচ্ছে।

বহু ভারতীয় কর্মসূত্রে বা পড়াশুনা করতে চীনে পাড়ি দিয়েছেন। এখন কার্যত তারা বন্দি হয়ে রয়েছেন চীনে। সেখানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের দ্রুত ভারতে ফেরানোর জন্য। বিশেষ বিমান পাঠাতে চীনকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ করেছে ভারত।

চলতি সপ্তাহে কলকাতায় এক চীনা নাগরিক জ্বর-সর্দি নিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হয়েছিল। তবে, পুণের ভাইরোলজি ল্যাব জানিয়ে দেয়, ওই ব্যক্তির রক্তের নোভেল করোনা জীবাণু নেই।

মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুবি সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
পরবর্তী নিবন্ধকুবি সমাবর্তনে দেয়া মূল সনদপত্র ভুলে ভরা!