নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঈদগাহে জায়নামাজ আর ছাতা ছাড়া মুসল্লিরা অন্য কিছু সাথে আনতে পারবেন না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রয়োজন হলে পুলিশ জায়নামাজ ও ছাতা খুলেও তল্লাশি করতে পারবে।
আজ শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, রাজধানীজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে সবচেয়ে বড় জামাত জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতকে ঘিরে সুদৃঢ়-সমন্বিত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুরো এলাকা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের পাশাপাশি আন্তঃবেস্টনী-বহিঃবেস্টনী ঘিরে মোট পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের গোয়েন্দা সদস্যদের বিপুল সংখ্যক সদস্য সাদা পোশাকে অবস্থান করবে। সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।’
‘‘ঈদ জামাতে প্রবেশে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আব্দুল গণি রোড, দোয়েল চত্বর, মৎসভবন মোড়সহ কয়েকটি ব্যারিকেড থাকবে। এসব রাস্তা দিয়ে ঈদগাহের দিকে পায়ে হেঁটে আসতে হবে।
ব্যারিকেডের ভেতরে সবাইকে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। যারা জামাতে আসবেন তারা সঙ্গে দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, ছুরি, দিয়াশলাই নিয়ে আসবেন না। সঙ্গে জায়নামাজ ও বৃষ্টি হলে ছাতা ছাড়া কিছুই আনা যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ প্রয়োজনে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা খুলে তল্লাশির পর ঈদগাহে প্রবেশের অনুমতি দেবেন।’’
নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে আগত মুসল্লিদেরকে পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদগাহে ফায়ার সার্ভিস, মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত থাকবে। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারী করা হবে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে।’
ঈদ উপলক্ষে আরো ৪-৫ দিন আগে থেকেই মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা