ই-কমার্সে প্রতারণা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বললেন রাষ্ট্রপতি

এমসি রিপোর্ট
শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ
দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ই-কমার্সে ভোক্তা প্রতারণা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

রাষ্ট্রপতির উপ-প্রেস সচিব মুন্সী জালাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সাম্প্রতিক কালে ই-কমার্সে ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে পত্রপত্রিকা ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই তাদের জন্য সুরক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে।

‘তিনি দেশে দ্রুত প্রসারণশীল ই-কমার্স ব্যবসায় ভোক্তা প্রতারণা বন্ধের কার্যকর উপায় বের করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ই-কমার্স একটি সম্ভাবনাময় খাত। কিছু সংখ্যক লোকের কারণে এ খাতটি যেন শুরুতেই মুখ থুবড়ে না পড়ে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে হবে।

এ খাতে প্রতারণা বা ভোক্তা স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সেগুলো কঠোর হাতে দমনের জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানান।

দেশে ই কমার্সের ব্যবসা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছিলো, এর মধ্যে মহামারী শুরু হলে নতুন নতুন বেশ কিছু কোম্পানি রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করে।

বাজারমূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে এসব কোম্পানি লাখ লাখ গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে এখন।

অনেকে অর্ধেক দামে পণ্য কিনে পরে বেশি দামে বিক্রির আশায় এসব কোম্পানিতে লাখ লাখ টাকার অর্ডার করেছেন। কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, কোম্পানি তাদের টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।

এসব ঘটনায় ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলাও হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু অগ্রিম টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়া গ্রাহকরা রয়েছেন অনিশ্চয়তায়।

ই-কমার্সের নামে টাকা হাতিয়ে নওয়া ঠেকাতে সরকার ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট।

প্রতিযোগিতা কমিশন সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সকল পদক্ষেপে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি ভোক্তারা যেন যৌক্তিক মূল্যে ও প্রত্যাশিত সময়ে মানসম্মত পণ্য পায় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা থাকতে হবে।

সাক্ষাৎকালে কমিশন চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিকসহ কমিশনের চলমান কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কমিশনের সদস্য জি এম সালেহ উদ্দিন, এ এফ এম মনজুর কাদির ও নাসরিন বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোভিডের কারণে এবারো বাতিল নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠান
পরবর্তী নিবন্ধচিঠি লিখে বিশ্বজয় সিলেটের নুবায়শার