ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবনের কাজ উদ্বোধন

শাহীন, ইবি প্রতিনিধিঃ
সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২০ | ২:৩৭ অপরাহ্ণ
ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবনের কাজ উদ্বোধন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের নতুন পাঁচতলা ভবনের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ৭ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন এ ভবনের কাজের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর-রশিদ আসকারী।

এর আগে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম আলী আহসানের সঞ্চালনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর-রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলিমুজ্জামান টুটুল, আইআইইআর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহের আলী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস.এম আব্দুল লতিফ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক’ সহ অন্যান্য শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর-রশিদ অসকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনুগ্রহ করে, কৃপা করে এরকম একটি পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এতগুলো টাকা বরাদ্দ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বিশ হাজার সদস্যকে চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেছেন। আজকের বাংলাদেশে যারা একটু চোখ কান খোলা রাখেন তারা বুঝতে পারেন যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো একটি মাল্টিপারপাস ব্রিজ প্রায় সমাপ্তির পথে। যার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ আজকে জল স্থল এবং অন্তরীক্ষ জয় করেছে। আমরা আজ স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি। কর্ণফুলী নদীতে নির্মাণ হচ্ছে টানেল। যেখানে সাবওয়ে মেট্রোরেলের মত প্রকল্পের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে। এই মহা উন্নয়নের মহা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন আজকের বাংলাদেশের চিত্র। তারই কিছু অংশ আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ।

এসময় প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলিমুজ্জান টুটুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দশটি দশতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। যার প্রতিটি ভবনের আকার হবে সাধারণ দশ থেকে পনেরটি ভবনের সমান। প্রায় ৩১টি অঙ্গের কাজ হবে। এই কাজগুলো আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আমাদের একটি শহরে পরিনত হবে। পনের থেকে ষোল হাজার ছাত্রছাত্রী আবাসিক সুবিধা পাবে। শিক্ষকদের জন্য নির্মাণ করা হবে প্রায় ৭২ ইউনিটের একটি বড় বাড়ি। ছাত্রদের জন্য একটি ১০০০ এবং একটি ৫০০ সিটের হল হবে। ২৫০০ থেকে ৩০০০ সিট নিয়ে মেয়েদের আরও একটি হল হবে। আরেকটি একাডেমি ভবন করা হবে যার ডিজাইন হবে অনেকটা জাহাজের মতো যার একদিকে থাকবে পুকুর দুই দিকে লেক। আকাশ থেকে দেখে মনে হবে ভাসমান কোন জাহাজ। স্কুলের এই ভবনের কাজটি আগামী দেড় বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে এবং পাঁচতলা ভবনের প্রতিটি তলায় চার থেকে পাঁচটি রুম থাকবে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/শাহীন/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোলায় লাইজু হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধসড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে নিহত