বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি পেতে যাচ্ছেন। ১৬ ডিজিটের এই ইউনিক আইডিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীর সব তথ্য সংরক্ষিত হবে। প্রতারণার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা এবং সনদ ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করতেই সরকারের এই উদ্যোগ। এ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, সভায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ভর্তি সংশ্লিষ্ট দুইজন কর্মকর্তা অংশ নেবেন। গতবছর করোনার টিকা দেয়ার শুরুতে ইউনিক আইডির প্রস্তাব আসে। ইউনিক আইডি চালু হলে শিক্ষার্থীদের সব রকমের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে জানায় ইউজিসি। তারা জানায়, শিক্ষার্থী সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, সঠিকভাবে শিক্ষার্থী নির্ণয়, ভুয়া শিক্ষার্থী ভর্তি দেখানো বন্ধ, ক্রেডিট ট্রান্সফারের নামে জালিয়াতি বন্ধ করাসহ নানা প্রশাসনিক কাজেও ইউনিক আইডি সহায়ক হবে।
ইউজিসি জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৬ ডিজিটের একটি পরিচিতি নম্বর থাকবে। এতে যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমিক, ভর্তির বছর, ভর্তির সেমিস্টার, হল, প্রোগ্রাম নম্বর এবং শিক্ষার্থীর রোল নম্বর থাকবে। সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি থেকে দেওয়া একটি ক্রমিক নম্বর থাকবে। এ ক্রমিক ৩ ডিজিটের হবে। ইউনিক আইডিতে থাকবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ভর্তির বছর কোড। এ ক্ষেত্রে যে ক্যালেন্ডার বছরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, সেই বছরের শেষ দুই ডিজিট বসবে। এরপর থাকবে ভর্তির সেমিস্টার কোড। এরপর থাকবে হল কোড। এরপর আইডিতে স্থান পাবে প্রোগ্রাম কোড। ইউজিসি নির্ধারিত কোড এখানে বসবে। এরপর শিক্ষার্থীর ক্রমিক। সংশ্লিষ্ট কোর্সে/প্রোগ্রামে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্রমিক নং যা ৩ ডিজিটের হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্রম অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে হবে।
প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus