আহসানউল্লাহর অধীনে আর কোনো পরীক্ষা নয়

এমসি রিপোর্ট
শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ | ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
কার্ড-বিকাশ-রকেটে জরুরি কেনাকাটায় মাশুল লাগবে না

আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলোজির অধীনে আর কোনো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়ায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আজিজুল হক রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। একটি পরীক্ষায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রশ্নফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে প্রথমে গ্রেপ্তার করেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ডিবি বলছে, ব্যাংকের পরপর চারটি নিয়োগ পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁস করেছে চক্রটি।

আরও পড়ুন : প্রশ্নফাঁস : পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল

ডিবির প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জড়িত সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলোজির আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এ পর্যন্ত চক্রটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁসের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।

এর আগে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম গত ৬ নভেম্বর থেকে বুধবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ বিশেষ অভিযানে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ওয়াহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় তেজগাঁও জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. শাহদাত হোসেনের নেতৃতে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রশ্ন ও উত্তর ফাঁসের মূলহোতা আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যায়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল (৩৪), রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন (৩০), পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন (৩৮) ও পরীক্ষার্থী স্বপন।

পরে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় নতুন করে আরও ৩ জনতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- খোকন, সোহেল, জাহিদ। খোকন জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, সোহেল ইতোমধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত। জাহিদ পরীক্ষার্থী সংগ্রহে এজেন্টের কাজ করতো। এদের সবাইকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে ডিবি। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ডিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুষ্ঠিত পাঁচটি ব্যাংকের এক হাজার ৫১১টি অফিসার (ক্যাশ) শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ৫১৬টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৫০০টি, রূপালী ব্যাংকে ৫টি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ৭টি পদ রয়েছে। বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পুরো পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহসানউল্লাহ ইউনির্ভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলোজি।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানকে কাঁদিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া
পরবর্তী নিবন্ধজাবির ‘জি’ ও ‘এইচ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ