আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই, আবরারের মা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯ | ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ | 207 বার পঠিত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী নিহত আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া বেগম ছেলের হত্যার বিচার চেয়ে রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে বলেছেন, এক ছেলেকে হারিয়েছি আর কোন ছেলেকে হারাতে চাই না। ওদের নিরাপত্তা চাই বলেছেন আবরার মা।

গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা জামে মসজিদে মিলাদ ও মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এতে আবরার পরিবারের আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ছাড়াও গ্রামবাসী অংশ নেন।

মা রোকেয়া বেগম বলেন, আমরা ছেলের জন্য সব ছেলেরা রাজপথে নেমেছে। আমি চাই না আমার মতো আর কোন মায়ের বুক খালি হয়। আমার এক ছেলে নেই, এখন সব বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ওরাই আমার ছেলে।

ওদের ওপর যেন কোন অত্যাচার না হয়। এক ছেলেকে হারিয়েছি আর কোন ছেলেকে হারাতে চাই না। আমি ওদের নিরাপত্তা চাই।

কুষ্টিয়ার সাংসদ সেলিম আলতাফ পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী আবরারের স্মৃতি স্মরণে বাড়ির সামনের আধা কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণসহ ‘আবরার ফাহাদ সড়ক’ নামকরণের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে আরবারের কবর পাকা ও সেখানে সোলার লাইট লাগিয়ে দেবেন, বাড়ির সামনের মসজিদও উন্নয়ন করে দেবেন বলে জানান তিনি।

বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

একাধিক শিক্ষার্থী ও এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে হামলাকারীদের নির্মম নির্যাতনের মুখে আবরার দুবার বমি করেন। সঙ্গে প্রস্রাবও করেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আবরার হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ। তবে এজাহারের বাইরে বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। গতকাল শুক্রবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠকে বসেন বুয়েটের উপাচার্য ড. সাইফুল ইসলাম। সেখানে মামলার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামীকে বহিষ্কারসহ বুয়েটের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে উপাচার্য নিজের ঘাটতির কথা স্বীকার করে পিতৃতুল্য হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান   

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রিকেটার মাশরাফির বাবা অসুস্থ
পরবর্তী নিবন্ধকিশোরগঞ্জে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত