‌‌‌’মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করছে আওয়ামী লীগ’

অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ | ১:০১ পূর্বাহ্ণ
সরকারের পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে জনগণ
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ দলটি এমন সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যখন পাকিস্তানিদের বৈরী মনোভাব আমাদের পূর্ব বাংলার মানুষের প্রতি ছিল। তারা আমাদের মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারই প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সাল থেকে ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ছাত্রলীগ। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

দলটির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িতদের স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের সংগঠন। জন্মলগ্ন থেকেই শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের জন্য কাজ করে গেছে সংগঠনটি। আর এই সংগ্রাম করতে গিয়ে দলের বহু নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। আজকের দিনে আমি তাদের সবাইকে স্মরণ করি। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

‘মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করছে আওয়ামী লীগ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই বাংলাদেশের মানুষ সমস্যায় পড়েছে তখনই ঝাঁপিয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। সহযোগিতা করেছে। এবার সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বানভাসিদের পাশে আগে গেছে আওয়ামী লীগ। সাহায্য করেছে। এভাবেই মানুষের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব। মানুষের সেবা করাটাই আমাদের আদর্শ। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন তিনি।

আগামীতে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি। এই ধারাবাহিকতা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে কেউ থামাতে পারবে না।

আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমি ২১০০ সালের ডেল্টাপ্ল্যান করে দিয়েছি। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ যাতে হয় সেই পরিকল্পনাও তৈরি করে দিয়েছি। এই ধারাবাহিকতা নিয়ে দেশ চলতে থাকলে তাহলে এদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। রুখতে পারবে না। মানুষের সেবা করা এটা আওয়ামী লীগের কর্তব্য ও দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা-খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব সময় দেশের মানুষের পাশে আছে। সরকারে থাকি আর বিরোধীদলে থাকি- যখনই বাংলার মানুষ কোন সমস্যায় পড়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সহযোগিতা করেছে। এবারের সিলেট সুনামগঞ্জের বন্যায়ও সবার আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গেছে। তাদের সাহায্য করেছে। এটা আমাদের আদর্শ। এটাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আত্মদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের সেবা করার অধিকার পেয়েছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। আজকে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। সেটাও গণমানুষের সমর্থন নিয়ে আমরা করেছি। ঠিক এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর কখনো পরমুখাপেক্ষী হবে না। কারো কাছে হাত পেতে চলবে না। চলবে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচ করে। বাংলাদেশের জনগণকে আমি স্যালুট করি। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, বাবা-মা-ভাই-বোন সব হারিয়ে দেশে এসেছিলাম। সেসময় আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। এদেশের জনগণের আশ্রয়ে এসেছিলাম আমি। তাদের মাঝে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম আমার হারানো বাবার স্নেহ, হারানো মায়ের স্নেহ, হারানো ভাইয়ের স্নেহ। তাই এদেশের মানুষের জন্য যে কোনো ত্যাগ করতে সব সময় প্রস্তুত আমি। আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাভাষায় কথা বলা, আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরার নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধ২৮ জুন থেকে ১৯ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ