অচিরেই নগরবাসীকে ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দেব: মেয়র খোকন

মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিবেদন
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ | ৭:৫৩ অপরাহ্ণ | 297 বার পঠিত

অচিরেই নগরবাসীকে ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দেব : মেয়র খোকনঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় নগর কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অচিরেই সম্মানিত নগরবাসীকে ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দেব আমরা। সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমের সঙ্গে নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলামের ডেঙ্গু আক্রান্ত স্ত্রী সুমি আক্তারকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফল নিয়ে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ওই আইনজীবীর বাসায় যান সাঈদ খোকন। এ সময় তিনি আইনজীবীর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

ডেঙ্গু ও এডিস মশা নিধনে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ডিএসসিসি মেয়র এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আইনি নোটিস পাঠান তানজিম আল ইসলাম।

অ্যাডভোকেট তানজিম বলেন, মেয়রের আগমন উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকেই খিলগাঁওয়ের একতা সড়কে পরিষ্কার শুরু করেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র সাঈদ খোকন আমার বাসার সামনে পৌঁছান। এরপর ফলফ্রুট নিয়ে প্রবেশ করেন।

বাসায় পৌঁছে মেয়র সাঈদ ডেঙ্গু আক্রান্ত সাদেকুন নাহারের সঙ্গে কথা বলেন। সাদেকুন নাহার অসুস্থতারও ডেঙ্গুর বিষয়টি মেয়রকে জানান। এ এলাকায় আর বেশিদিন থাকবেন না বলেও তিনি জানান। এ সময় অ্যাডভোকেট তানজিম মেয়রকে মশা নিধনে সব বিভাগের সমন্বয়ের পরামর্শ দেন। সাঈদ খোকন প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন।

আইনজীবীর বাসা থেকে বেরিয়ে মেয়র বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছি। সব শক্তি দিয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নাগরিকদের প্রতি আহ্বান- আপনারা সতর্ক থাকবেন। ভয়ের কিছু নেই। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমাদের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে কিছু লিগ্যাল নোটিস এসেছে। বিষয়টির আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপার রয়েছে। যে নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়েছেন, মেয়র হিসেবে তার সঙ্গে থাকা, দেখা করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। দায়িত্ববোধ থেকে চলে এসেছি। আমার বোনকে দেখে এসেছি। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছি।

অ্যাডভোকেট তানজিম বলেন, মেয়র এসেছেন তার নৈতিক দায়িত্বের জায়গা থেকে। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ। ৫০ লাখ টাকার বিষয়টি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখলে হবে না, প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে দেখতে হবে।

তানজিম তার নোটিসে উল্লেখ করেন, ২৯ জুন আমার স্ত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হন। যেহেতু এডিস মশা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পুরোপুরি ব্যর্থ, তাই এর দায়ভার তাদের (মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি কেন জিয়া হত্যার বিচার চায়নি: তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধসৌদি পৌঁছেছেন ৩৯ হাজার ৯৫৩ জন হজযাত্রী